আক্তারুজ্জামান : নানান ঘটনার জন্ম দিয়ে গত চারদিন আগে শেষ হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। ১১তম আসরে প্রথমবার খেলতে নেমেছিলো ২টি দল। যার একটি বসুন্ধরা কিংস ও অপরটি নোফেল স্পোটিং ক্লাব। বসুন্ধরা প্রথমবারেই শিরোপা ঘরে তুলেছে কিন্তু নোফেল অবনমন এড়াতে পারেনি। ১১তম আসর শেষে এখন চলছে আয়-ব্যয়ের হিসাব। আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ২ লাখ টাকা আয় করেছে আসরের হলুদ কার্ড থেকেই।
সদ্য শেষ হওয়া আসরে মোট ম্যাচ ছিলো ১৫৬টি। মোট গোলের দেখা মিলেছে ৪৩৯টি। কম যায়নি রেফারিদের দৌড়ও। কেননা পুরো আসরে রেফারিরা ৪৫৮ বার হলুদ কার্ড দেখাতে হয়েছে। লিগে সবচেয়ে বেশি ৩৯ হলুদ কার্ড দেখেছে অবনমনে যাওয়া দুই ক্লাব- টিম বিজেএমসি ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনীর ফুটবলাররা ৩৪ হলুদ কার্ড দেখেন। সবচেয়ে কম ২২ হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফুটবলাররা।
প্রিমিয়ার লিগের নিয়মানুযায়ী ম্যাচে চার বা অধিক কার্ড দেখার কারণে জরিমানা দিতে হয়। সবচেয়ে বেশি জরিমানা গুনতে হয়েছে টিম বিজেএমসিকে। সাত ম্যাচে চার বা অধিক কার্ড দেখেছেন দলটির ফুটবলাররা। এজন্য ম্যাচপ্রতি ১০ হাজার করে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা দিচ্ছে লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া দলটি। কার্ডজনিত জরিমানার দিক থেকে দ্বিতীয় সাইফ এসসি, চার ম্যাচে চার বা অধিক কার্ড দেখেছেন দলটির ফুটবলাররা। সবমিলিয়ে এবারের লিগে কার্ড-সংক্রান্ত মোট জরিমানার অংক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বাফুফের প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হয়েছে শুধু হলুদ কার্ড থেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :