মো. আখতারুজ্জামান : আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অংশগ্রহণ করেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প একবার সংশোধন হতে পারে, কিন্তু তিন বার সংশোধন হওয়াটা সমিচিন নয়। তৃতীয়বার প্রকল্প সংশোধনের জন্য এলে তা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে। এটা প্রধানমন্ত্রী ভালো চোখে দেখেন না। কারা কারা তিনবার সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তাদের তালিকা একনেকে আনা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করতে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যেই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কিছু প্রকল্পে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং শুরু হয়েছে। প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে আমরা কেন তার ব্যবহার করবো না।
মন্ত্রী জানান, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির ৯৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। তার আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হয়েছিল ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ। নির্বাচনী বছর থাকায় নির্বাচন কমিশনের কারণে তিন মাস ঠিক মতো কাজ করতে না পারলেও গত অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির বাস্তবায়নের আমরা সন্তুষ্ট। নির্বাচন না থাকলে গত অর্থবছর ৯৯ শতাংশ সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন হতো। চলতি অর্থবছর আশা করছি শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প পরিচালকরা যাতে প্রকল্প এলাকায় থাকেন এবং তাদের যাতে ঘনঘন বদলি করা না হয় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে চষে বেড়ানোর যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি আরও বৃদ্ধি করা কবে। এ মাসেই আরও একটি বিভাগে যাবো। প্রতি ২ মাস পরপর মন্ত্রণালয়গুলোর প্রকল্প প্রণয়নের সঙ্গে যারা যুক্ত অর্থাৎ প্রধান এবং যুগ্ম প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সচিবরা নিজেরাও যাতে প্রকল্প এলাকায় যান সেজন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একনেক বৈঠকে যেসব অনুশাসন দেন, সেগুলো যাতে বাস্তবায়ন করা হয় সেজন্য সচিবদের তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া একটি বই আকারে অনুশাসনগুলো পাঠানো হবে। যেমন কোনো প্রকল্পে দেখা যায় ১০ তলার অনুমোদন নিয়ে তিন তলা করার প্রস্তাব করা হয়। এটা প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন না। ১০ তলা ভিত্তি হলে ১০ তলা বিল্ডিংই করতে হবে।
প্রকল্প তৈরির আগে অবশ্যই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে হবে, কেননা সঠিক সমীক্ষা ছাড়া প্রকল্প সঠিকভাবে তৈরি করা সম্ভব নয়। প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়াতে তিন মাস পর পর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৈদেশিক সহায়তা অংশের অর্থ ব্যয় কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সম্পাদনা : সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :