তাসকিনা ইয়াসমিন : স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনার নিজের সচেতনতাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এডিস মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের একমাত্র বাহক, তাই মশা দমনই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের প্রধান উপায়। আমরা ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা করছি, এর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে আমরা সবাই মিলে কাজ করলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব। সিভিল সোসাইটি, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সবাই যার যার দিক থেকে দায়িত্ব পালন করছে। বিভিন্ন অফিস-আদালত, প্রশাসন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একসঙ্গে কাজ করছে। এতে করে মশা কিছুটা কমেছে। না হলে রোগী আরও বাড়ত।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার কামড়ে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। এডিস মশা সাধারণত ভোরে বা সন্ধ্যায় কামড়ায়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ির ভেতর, বাহির, ছাদ এবং আনাচে কানাচে পড়ে থাকা অপ্রয়োজনীয় পাত্র ও প্যাকেটসমূহ ডাষ্টবিনে ফেলে দিন। বাড়ির আশে পাশের ঝোপঝাড় এবং আঙিনা পরিস্কার রাখুন। অব্যবহৃত গাড়ির টায়ার, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, পরিত্যক্ত টিনের কৌটা, কাঁচ, প্লাস্টিকের বোতল, ক্যান, বিস্কুট বা চিপস এর প্যাকেট, গাছের কোটর, পরিত্যক্ত বা ভাঙা হাঁড়ি, ডাবের খোসা, ইত্যাদিতে তিন দিনের বেশি যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন এবং প্রয়োজনে অপসারণ করুন। বেজমেন্ট, কারপার্কিং, বালতি, ড্রাম, গাছের টব, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারের নীচের পানি কোনভাবেই যেন একনাগাড়ে তিন দিনের বেশি না জমে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
তিনি বলেন, একা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে কোনভাবেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চাইলে সব আগে মশা নিধন করতে হবে। আর এই কাজটি করবে সিটি কর্পোরেশন। তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্ক হতে হবে। তবেই আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো।
আপনার মতামত লিখুন :