মোহাম্মদ এ আরাফাত : ডেঙ্গু মূলত ভাইরাস বাহিত একটি রোগ যা শুধু এডিস ইজিপ্টি নামে একটি বিশেষ মশার কামড়েই সংক্রমিত হয়। এডিস মশার গায়ের সাদা ছোপ ছোপ দাগ থেকে অন্যান্য মশা থেকে একে সহজে আলাদাভাবে চেনা সম্ভব।
এই মশা ঘন জঙ্গলে থাকে না বরং মানুষের আবাসস্থলে যেমন ঘরে, চৌকির নিচে, পর্দার ভাজে, বেসিন বা কমোডের নিচে লুকিয়ে থাকে। একইভাবে বড় কোনো জলাশয় নয় বরং ছোটখাটো জমে থাকা পানির আঁধার যেমন টবে, ফ্রিজের নিচে, রাস্তার ধারের পানি, পানীয়ের ক্যান, নারিকেলের খোলায় এরা বংশবৃদ্ধি করে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ : ১. এডিস মশার বংশবৃদ্ধিকে রুখে দেয়াই এর মূল প্রতিরোধ তাই এই মশা যাতে বংশবৃদ্ধি না করতে পারে সেজন্য তৎপর থাকতে হবে। ২. বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ৩. ছোটখাটো কোনো কিছুতে যেমন ফুলদানি, কৌটা, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ার যাতে পানি না জমে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. এডিস মশা সাধারণত সকালে ও সন্ধ্যায় কামড়ায় তাই মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে ভালোভাবে কাপড় জড়িয়ে নিতে হবে, মশারি ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজনে মসকুইটো রিপিলেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। ৫. ঘরের দরজা জানালায় নেট লাগানো সম্ভব হলে আরও ভালো হয়। ৬. মশারি, মশা মারার স্প্রে, ম্যাট বা কয়েল ছাড়া দিনে বা রাতে কখনোই ঘুমানো উচিত নয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :