গুলজার হোসেন উজ্জ্বল : ঢাকায় প্রবল চিকিৎসক সংকট চলছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে। প্রতি মিনিটে নতুন ডেঙ্গু রোগী আসছে? ‘আতংকিত হবেন না, প্যানিক হবেন না’ এসব বলে লাভ হবে না। রোগীরা সরাসরি ডাক্তারকেই দেখাতে চায়। খুব কম রোগীই শকে যাচ্ছে। তার চেয়েও কম মারা যাচ্ছে। কিন্তু যাচ্ছে তো। মানুষের মনে ভয় ঢুকছে।
এই মৃত্যুভয় আপনি কি দিয়ে ঠেকাবেন? ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অস্থায়ী ক্যাম্প করুন। অস্থায়ী ভিত্তিতে ডাক্তার নিয়োগ দিন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেমন করা হয়েছে। ডাক্তার অন্তত রিপোর্টটা দেখে রোগীকে পরামর্শ দিক... কে ভর্তি হবেন, কে হবেন না। ভর্তি না হলে করণীয় কি সেটুকুও বলুক। সরকারি হাসপাতালের ইমার্জেন্সিগুলো ডেঙ্গু রোগীর চাপেই আটকে গেছে। অন্য কাজ করবে কখন? ডাবল ট্রিপল ডিউটি করছে? রোগীর চাপ আছে, অ্যাটেন্ডেন্টের চাপ আছে, আছে সংবাদ সংগ্রাহকের চাপ। ওদের চাপ কমানোর ব্যবস্থা করুন। ইমার্জেন্সিগুলোতে কন্ট্রাকচুয়াল নিয়োগ দিন। অনেক বেকার ডাক্তার আছে ঢাকা শহরে। ওরা কিছু কাজ করুক। অস্থায়ী ভিত্তিতে নার্স নিয়োগ দিন। ল্যাবগুলোতে অতিরিক্ত চাপ। রিপোর্ট দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ওদের কথাও ভাবুন। বেসরকারি হাসপাতালের কথাও ভাবুন। সবার তো আর রাজার ভা-ার নেই। বিপুল সংখ্যক ওদের সেবায় সুস্থ হচ্ছে? বেশি খারাপ হয়ে গেলে অধিকাংশ রোগী যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে। সেখানেও লোকবলের সংকট হচ্ছে। ওদের জন্য কি করা যায় ভাবুন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিট সাপ্লাই দিতে পারেন বিশেষ হ্রাসকৃত মূল্যে। খালি কম মূল্য বেঁধে দিলেই হবে না, রাষ্ট্র ওদের কিছুর দায়িত্বও নিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :