শাহীন খন্দকার : রাজধানীর গুলশান নিকেতনের দিকে লেকপাড়ের একটি অংশে কিছু ময়লা থাকলেও গুলশান সোসাইটি ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগে তা পরিস্কারের কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নিকেতন থেকে গুলশান মসজিদ পুলপাড়,কালাচাঁদপুর ৭২ নং রোড হয়ে হাতিরঝিল পর্যন্ত ১০০ ট্রাক ময়লা এরইমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।
দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সঙ্গে গুলশান সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ইভা রহমানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের সাথে আলোচনা করেই সোসাইটির নিজস্ব অর্থয়ানে এবং বসবাসরত নাগরিকদের সার্বিক সহযোগিতায় লেক পরিস্কারের এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
তিনি বলেন, লেক পরিস্কারের কাজ শেষ, ঈদের পর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু হবে সোসাইটির পক্ষ থেকে।
লেকের পানিতে দুর্গন্ধ-এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী, এ প্রশ্নের উত্তরে ইভা রহমান বলেন, কালো দুর্গন্ধ পানি নির্মূলে রাজধানীর স্যুয়ারেজের লাইনসহ ড্রেনের ময়লা আবর্জনা মুক্ত রাখতে হবে, তবেই লেকের পানি স্বচ্ছ এবং দুর্গন্ধ মুক্ত করা সম্ভব। সেই সাথে লেকের চারপাশে গড়ে উঠা বাসা বাড়িসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। যাতে লেকের ভেতরে প্রতিদিনের ব্যবহার্য উচ্ছিষ্ট না আসে সেদিকে নজর দিতে হবে সবাইকে।
এডিস মশা ও ডেঙ্গু নির্মূলের লক্ষ্যে প্রতিদিন সকালে লাভরা সাইড ওয়েলসহ বিকালে ফোকার মেশিনের সাহায্যে মশা নিধনের ওষধ ছিটানো হয় লেকের চারিপাশে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় লেক পরিস্কার করে ময়লা আবর্জনা গুলশান-২ এর ১০৬ নম্বর সড়কের কোণায় রেখেছিল গুলশান সোসাইটি।
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং রাজউকের সমন্বয়হীনতার কারণে একমাসের বেশি সময় ধরে আবর্জনা পড়েছিল। শনিবার থেকে সরানোর কাজ শুরু করেন তারা যা এখনো চলমান রয়েছে।
জমে থাকা ময়লা পাশের লেকে গিয়ে মিশছে। ওই আবর্জনার পাশে অনেককেই মলমূত্রত্যাগ করতে দেখা যায়। লেকের পাড় ধরে এগোলে শাহজাদপুর থেকে গুলশান-১ লিংক রোডের পুরোটা জুড়েই এমন ময়লা-আবর্জনা চোখে পড়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একমাস আগে গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে লেক পরিস্কার করা হয়। তবে লেক থেকে তুলে আনা ময়লা সড়কের কোণায় জমা রাখে আবার কিছু ময়লা সরিয়ে নেয়। অবশিষ্ট ময়লা সড়কেই ফেলে রাখেন তারা।
সম্পাদনা : মিঠুন, মুনশি
আপনার মতামত লিখুন :