স্পোর্টস ডেস্ক : মৌসুমের শুরতেই জার্মান জায়ান্ট বায়ার্নকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলো বুরুশিয়া। সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ২-০ গোলের ব্যবধানে বাভারিয়ানদের হারিয়েছে বুরুশিয়া।
তরুণ ইংলিশ ফুটবলার জ্যাডন সানচোর কাছেই যেন হার মানতে হয়েছে বাভারিয়ানদের। বুরুশিয়ার করা দুই গোলের অবদান যে তার। বুরুশিয়ার হয়ে প্রথম গোলটি করেন পাকো আলকার। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে জ্যাডন সানচোর এসিস্টে বল জালে জড়ান পাকো। আর মৌসুমের শুরুতেই নামের পাশে একটি এসিস্ট যোগ করে ফেলেন সানচো।
ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের একটি বুন্দেস লিগা। আর ক্যারিয়ারের প্রথম প্রোফেশনাল বছরেই বাজিমাৎ সানচোর। প্রথম মৌসুমেই নামের পাশে ১২ গোল আর ১৪ এসিস্ট। সেই সাথে জায়গাও করে নিয়েছিলেন বুন্দেসলিগার সেরা একাদশে।
গেল মৌসুমে ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, এবার যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন এই ইংলিশ ফুটবলার। পাকো আলকারকে করা এসিস্টের মধ্য দিয়েই তারই জানান দিয়েছেন তিনি।আ র ৬৯ মিনিটে রাফায়েল গুয়েররোর করা এসিস্ট থেকে গোল করে নামের পাশে মৌসুমের প্রথম গোলও যোগ করলেন। আর জানিয়ে দিলেন গেল মৌসুমের থেকেও ভয়ংকর হয়েই ফিরছে সানচো।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই দলের ফরোয়ার্ডরা যেন গোল মিসের মহড়া দিয়েছেন। দুই দলের ফরোয়ার্ডরাই বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। ম্যাচের তখন মাত্র দুই মিনিট চলছে মার্কো রয়েসের বা পায়ের দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন বাভারিয়ান গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যার। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে আবার সুযোগ বুরুশিয়ার সামনে। ম্যাচে গোল করে এগিয়ে যাওয়ারও আরও একটি সুযোগ পাকো আলকারের সামনে। তবে সানচোর পাস থেকে শট নিলেও তা গোল পোস্ট ঘেঁসেই চলে যায়। এছাড়াও ম্যাচের ২০ মিনিটের সময় রাফায়েল গুরেরোকে হতাশ করেন নয়্যার।
অন্যদিকে বাভারিয়ানদের প্রথম সুযোগ আসে ম্যাচের ২৩ মিনিটে, কিংসলে কোমানের শট ঠেকিয়ে দেন ডর্টমুন্ড কিপার মারউইন হিটজ। প্রথম অর্ধের শেষ বাঁশি বাজার আগে রবার্ট লেভানডফস্কি ও লিওন গোরেটজকার শট ঠেকিয়ে দিয়ে হতাশ করেন বাভারিয়ানদের।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে কেবল বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোলের নিচেই চাপা পড়ে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। আক্রমণ করলেও বুরুশিয়ার কাছে দুই গোল হজম করে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। আর এই জয়ে ২০১৪ সালের পর আবারও জার্মান কাপের শিরোপা জয় করল ডর্টমুন্ড। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো জার্মান কাপ জিতলো হলুদ কালোরা। সম্পাদনা : সোমা
আপনার মতামত লিখুন :