তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে চোরাই পথে আসছে ভারতীয় গরু। এতে একটি চক্র যেমন হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ, তেমনি সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে যাতে গরু প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছেন তারা।
সরজমিনে গিয়ে ঘুরে ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, একটি চক্র কৌশলে সীমান্তের কাঁটা তার পেরিয়ে গোরাং গোলা, পুটিয়া, মাদলাসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রাতের আধাঁরে এসব গরু দেশে আনছে। পরে চক্রটি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গরু রাখে এবং দালালদের মাধ্যমে স্থানীয় নয়নপুর হাটে তা বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। এ সকল চোরাই গরুর দাম কম হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে ট্রাক বোঝাই করে গরু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ব্যবহার করে সপ্তাহের ৬ দিনই ভারত থেকে এসব গরু আনা হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে কয়েকটি চক্র। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় খামারিসহ কৃষকরা।
খামারিদের অভিযোগ অবৈধভাবে আনা ভারতীয় গুরুর সয়লাবের কারণে দেশীয় খামারিরা লাভ দুরের কথা পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে। তারা অবৈধ পথে গরুর প্রবেশ বন্ধে সরকাররের প্রতি দাবি জানান।
নয়নপুর গরুর বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুন্নবী আজমল ভারতীয় গরু আসার কথা স্বীকার করেন বলেন, শুধু এখান দিয়েই নয় দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়েই গরু আসছে।
এ বিষয়ে ৬০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো. ইকবাল হোসেইন বলেন, আমরা সর্তক অবস্থায় আছি, গরু যখনই আসছে তখনই আটক করা হচ্ছে। সম্পাদনা: ফরহাদ উজজামান
আপনার মতামত লিখুন :