শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন তিথি ও নাইম ◈ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: জানালেন আইন উপদেষ্টা ◈ জাহাঙ্গীরনগরে ‘গণপিটুনিতে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ◈ তমা মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ফাটলের গুঞ্জন, যা বললেন রাফি (ভিডিও) ◈ ‘মারছে, ভাত খাওয়াইছে, এরপর আবার মারছে, ভাত খাওয়াইছে : তোফাজ্জলের মামাতো বোন (ভিডিও) ◈ ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক ◈ শামীম ওসমানের পুরোনো ভিডিওটি ভাইরাল : ‘ফিরব কি না জানি না’ ◈ জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ ◈ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে : ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট ◈ ফের নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:১৭ রাত
আপডেট : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অতি প্রাপ্তিতেই নোবেলের মাথা গরম হয়ে গেছে, তাই জাতীয় সংগীত বদলানোর মতো কথা বলার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন

অজয় দাশগুপ্ত : আমি সা রে গা মা পার নিয়মিত দর্শক ছিলাম। গোড়া থেকেই শান্তনু মৈত্র আর মোনালী ঠাকুরের ভাঁড়ামি, অতি অভিনয় ও অজ্ঞতা নিয়ে লিখে এসেছি। মোনালী রান্ডিশান, হরকত আর স্পিচলেস এমন বিজাতীয় শব্দের বাইরে কোনো কথাই বলতে পারতো না। যতোবার গান গাইতে গিয়েছে ততোবারই প্রমাণ হয়েছে প্রতিযোগীরা তার চাইতে ভালো গায়।

মৈত্র তো ঝানু মাল। আয়োজনে সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকে ...  দিতে গিয়ে বাধা পাবার পরই আমি লিখেছিলাম ঋতি যতো ভালো গান করুক বাদ পড়বেই। মেয়েটি তার দিকে দ্রুত তেড়ে আসা মৈত্রকে ঠেকানোর জন্য হাতজোড় করে নমস্কারের ভঙ্গি করে দাঁড়িয়েছিলো। ব্যর্থ শান্তনু মৈত্র সে যাত্রায় হাই ফাইভ দিয়ে ফিরলেও তাকে বাদ দিতে কসুর করেনি। সুমন ছেলেটির সঙ্গে অনায্য আচরণের কারণ বানিজ্য। টিআরপি, কমার্শিয়াল, বাংলাদেশের দর্শক ধরে রাখার জন্য এই বালকটিকে কালিকা প্রসাদ পুরস্কার নামের সান্ত¡না পুরস্কার ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

নোবেল কেমন গায়ক সেটা সবাই জানেন। দু-একটি পপ বা ব্যান্ডের গান চড়া গলায় গাইলেই একটি প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া যায় না। এটি দাদারাও জানতেন। জ্ঞান পাপী শ্রীকান্ত আচার্য ও যেসব ভুয়া তারিফ করতেন তার মূল্য চুকালেন ফাইনালে। কীভাবে? ফাইন্যালে তো সবাই সেরাটা দেয়। নোবেলের সেরা বা কম্ফোর্ট জোন কি দেশের গান? না বাংলা নিয়ে আবেগের গান? তাকে এ গান ধরিয়ে দেয়া হয়েছিলো ডাউনে রাখার জন্য। এই যুবকের তো অতি প্রাপ্তিতেই মাথা গরম হয়ে আছে। তাই জাতীয় সংগীত বদলানোর মতো কথা বলার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে সে। এই সুযোগে পুরানো নতুন যাবতীয় রাজাকারও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক মানুষের মুখোশও খুলে পড়েছে। এর পুরোভাগে হিন্দু বামুনও আছে বৈ কি। এদের কথা শুনলে মনে হয় নতুন কোনো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানছি। যার গেরুয়া আলখেল্লার তলায় লুকানো ছিলো সাম্প্রদায়িক সাপ। যিনি ঢাকাবিরোধী। যিনি কখনো সাজাদপুর বা শিলাইদহে আসেননি। পদ্মাবক্ষে কবিতা লেখেননি। অথচ যিনি সাতচল্লিশে দেশ ভাগও দেখেননি তার উপর এতো গোস্বার কারণ তিনি ব্রাহ্ম হবার পরও মূর্খরা মনে করে হিন্দু। একটা দেশের জাতীয় সংগীত কি ছেলেখেলার বিষয়? কি কারণে মনে করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন সৈয়দ নজরুল বা এ দেশের বুদ্ধিজীবী শিল্পী সাহিত্যকরা ছিলেন বোকা? কতো আগে বঙ্গবন্ধু ঠিক করে রেখেছিলেন এই গান। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে জানুন এই গান মুক্তিযুদ্ধে কেমন শক্তি ও প্রেরণা দিয়েছিলো। এ গান গাইতে গাইতে জান বিলিয়ে দেয়া ইজ্জত লুটিয়ে ফেরা অশ্রুজলে ভেজা দেশের ইতিহাস জানুন। আপনাদের বালখিল্যতা আর আস্ফালন দেখে মনে হয় পঞ্চাশ বছর পর প্রিন্স মাহমুদ নামের একজন একটি গান লিখবে যাতে অমুসলিম কারও নাম অবদান থাকবে না আর নোবেল নামের কলকাতা প্রডাক্ট তা গাইবে। সেটা জাতীয় সংগীত হবে বলেই লাখো শহীদ প্রাণ দিয়েছিলেন। মা, বোন, কন্যার সম্ভ্রম আর কোটি মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। লজ্জা ও নেই আমাদের। নেই কোনো আত্মমর্যাদাবোধ। যতোদূর জানি জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে বললে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটা আইনও আছে দেশে। হয়তো তারও প্রয়োগ নেই। কী যে হবে আমাদের? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়