শিরোনাম
◈ ‘বাজারে সিন্ডিকেট এখনো আছে, হাত বদলের মাধ্যমে দাম বাড়ছে’ ◈ মিয়ানমারে জান্তার গুপ্তচর কাজ করছে বিদ্রোহীদের পক্ষে! ◈ সমুদ্রে ভাসছিল ১০২ রোহিঙ্গা, উদ্ধার করল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী ◈ জনসংখ্যা দ্রুত কমছে, মাথা খারাপ ভারতের! ◈ প্রধান উপদেষ্টাকে যে কারণে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মরদেহ দেখতে ল্যাবএইড হাসপাতালে গেলেন: মির্জা ফখরুল  ◈ হামজার মতো আরও কিছু প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশের হয়ে খেলার জন্য অনুপ্রেরণা দিবে বাফুফে ◈ নেপালকে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হলো বাংলাদেশ ◈ উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘‘কড়া প্রতিবাদ’’ জানিয়েছে ভারত ◈ দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে ছুটে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৬:১২ সকাল
আপডেট : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৬:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধামরাইয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাণ্ড!

নিউজ ডেস্ক : ঢাকার ধামরাইয়ে ভালুম এআর খান স্কুলের প্রধান শিক্ষক ক্লাস বন্ধ রেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রখর রোদের মধ্যে দিনভর কোরবানির পশুর হাটে খুঁটি পুতেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুগান্তর

শুধু তাই নয়; পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও এ কাজে সম্পৃক্ত করে চরম বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন ওই শিক্ষক।

খবর পেয়ে এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে ওই প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে যান। তবে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,ধামরাই উপজেলার ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম শনিবার সকাল ১০টার দিকে আতাউর রহমান খান স্কুল ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ রেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য দিনভর প্রখর রোদের মধ্যে বাঁশের খুঁটি পুঁতেন।

বিষয়টি জানতে পেরে একই এলাকার মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. অনিক হাসান এতে বাধা দেন এবং ভিডিও ধারণ করেন।

এ সময় ওই শিক্ষক তার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এতে অনিক জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। এরপরও তার ওপর চলতে থাকে বেত্রাঘাত। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রধান শিক্ষক মো. জাহঙ্গীর আলম গ্রেফতারের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন,পূর্বে মাঠটি পেরিফেরিভুক্ত থাকায় ওই খেলার মাঠে পশুর হাট বসত। স্থানীয় নেতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পেরিফেরি অবমুক্তি চাইলে সরকার তা অবমুক্ত করে। এরপর হাটটি অন্যস্থানে স্থানান্তর করা হয়। আবার সেই জায়গায় পশুর হাট বসানো প্রশ্নবিদ্ধ। এ ছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে খুঁটি পুঁতানো অমানবিক। এ ব্যাপারে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়ে খুঁটি পুতার কথা অস্বীকার করে বলেন,শিক্ষার্থীরা নিজের ইচ্ছায় আনন্দ করে এ খুঁটি পুঁতেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়