লিহান লিমা: ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন মার্কিন টেক জায়ান্টগুলোর ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে না নেয়া পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি থেকে দূরে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’ আরো বলেছে, এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প-জনসন এর ‘বিশেষ সম্পর্ক’ প্রথম পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। ডয়েচে ভেলে।
শনিবার দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি ব্রিটেন অ্যামাজন ও গুগলের মতো টেক জায়ান্টগুলোর ওপর ডিজিটাল করারোপ করে তবে, যুক্তরাষ্ট্র বিনয়ের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে টা-টা বাই-বাই বলে দেবে। তারা আরো জানায়, ব্রিটিশ সরকারের ওপর নানা ধাপে চাপ আসবে।
গত মসে ব্রিটেনের সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী লায়াম ফক্স সতর্ক করে বলেছিলেন, ডিজিটাল ট্যাক্স বাতিলের শর্তেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। তবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য একটি চাবি-কাঠি।
৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের পর খুব কম সময়েরর মধ্যেই ব্রিটেনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি সেরে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরিস। যদিও সমালোচকরা সতর্ক করে বলেছেন, ব্রেক্সিটের পর ইইউ’র ২৭ দেশের সদস্যের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষতি পোষাতে পারবে না ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি। ব্রিটেন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এর অনেক সমর্থক বলছেন, চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন মেডিকেল জায়ান্টগুলোর কাছে ক্ষতির সম্মুখীন হবে সংস্থাটি। জনগণের ক্ষোভের মুখে গত বছরই টেক জায়ান্টগুলোর ওপর করারোপ করেছিলো ব্রিটেন। আগামী বছর থেকে এটি কার্যকরা হবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৪৫ বছর ধরে ব্রিটেনের বাণিজ্য ব্রাসেলসের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছিলো। এবার ব্রিটেনকে একাই ভবিষ্যত বাণিজ্য চুক্তির সমঝোতার সম্মুখীন হতে হবে। ট্রাম্প ও জনসন শীঘ্রই বাণিজ্য চুক্তির আভাস দিলেও মার্কিন শর্তগুলো ব্রিটেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। বরিস জনসনের জন্য আরেক মূল চ্যালেঞ্জ ইউরোপের সঙ্গে সমঝোতা। কারণ ইইউ নতুন করে কোন চুক্তির কথা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। ব্রেক্সিট বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইইউ থেকে চুক্তিবিহীনভাবে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা দিনকে দিন আরো জোরদার হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :