শিরোনাম
◈ টাকা ধার নিয়ে অনেকেই গড়িমসি করেন, ফেরত না দিলে যা করবেন ◈ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিৎ: নাহিদ ইসলাম ◈ শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যা’ : হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হেফাজতে ইসলামের ◈ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ◈ আন্দোলনকারীরা আমারই ভাই, কার ওপর কঠোর হব : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ◈ চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের কারণ জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ◈ এবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি ◈ চট্টগ্রামে ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ◈ সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য, উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ রাখাসহ আরও যেসব প্রস্তাব বিএনপির ◈ অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল জ্যাকবকে রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০১:৪৭ রাত
আপডেট : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০১:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিন্ডিকেটের কবলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে আছে গোটা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)। টেন্ডার, বদলি বাণিজ্য ছাড়াও দাফতরিক অনেক কর্মকান্ড কর্মকর্তা-কর্মচারী আর বহিরাগতের সমন্বয়ে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। এতে একদিকে সরকারী অর্থের হরিলুট চলছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরে বিরাজ করছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এ নিয়ে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে সিন্ডিকেটের নেপথ্যে খোদ শীর্ষ কর্মকর্তার মদদ থাকার কারণে তাদের অপকর্ম নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই। বরং দুই-একটি কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হলেও নানা কায়দায় সেসব ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, শিক্ষা খাতে মোট বাজেট বরাদ্দের ৮০-৮৫ ভাগ অর্থ ব্যয় হয় অবকাঠামো উন্নয়নে। আর পুরো কাজের দায়িত্ব শিক্ষা প্রকৌশলের। কিন্তু সিন্ডিকেটের টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির কারণেই কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছে না। বরং অনেক কাজই হচ্ছে নিম্নমানের। বিভিন্ন নির্মাণ কাজ উল্লিখিত সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তির মাধ্যমেই রফা হয়ে থাকে। ওই ব্যক্তি প্রধান প্রকৌশলীর ভাই আবদুল হাই।

সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ থেকে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন খোদ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। ৬ তলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের মূল দরপত্রে প্রতি তলায় ‘শিডিউল আইটেম’ মোজাইক লাগানোর কথা থাকলেও তার বদলে কম দামের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথম দরপত্রে মোজাইকসহ ৬ তলা ভবন নির্মাণের জন্য প্রতি তলার ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। সে হিসাবে ছয়তলার জন্য ব্যয় হওয়ার কথা ৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা। কিন্তু অজুহাত কারণে দর নির্ধারিত হয় ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায়, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে সাত কোটি টাকা বেশি। ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর এক চিঠিতে পরে ওই প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন দ্য বিল্ডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও সেখানে টাইলস বসানো হয়েছে।
গত জুন মাসে টেন্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে ২৩টি জীপ গাড়ি ক্রয় করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজস করেই পাতানো টেন্ডার করা হয়। গাড়িগুলো জুন মাসে ডেলিভারী নিলেও টেন্ডার কমিটির সদস্যরা গাড়ি পরিদর্শনের নামে জুলাই মাসে জাপান সফর করেন। এর আগে প্রগতির কাছ থেকে ৬টি সুজুকি ভিটারা জীপ ক্রয় করা হয় প্রতিটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দরে। অথচ একই গাড়ি উত্তরা মোটরস বিক্রি করছে প্রতিটি ৪২ লাখ দরে। এ গাড়িগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে ডিপিএম এর মাধ্যমে ক্রয় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প’-এর জন্য দুইটি মাইক্রোবাস ক্রয়েও অনুরূপ কায়দায় দুর্নীতি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জ্বালানি খরচ ও গাড়ি মেরামত দেখিয়েও চলছে হরিলুট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়