স্বপ্না চক্রবর্তী : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের তদারকিতে নিয়োজিত ইউরোপীয়ান ক্রেতা জোট একর্ডকে নতুন কোনো শর্ত আরোপের ক্ষেত্রে বিজিএমইএ এর সাথে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি বলেন, আমাদের এমন অনেক কারখানা আছে যেগুলো সংস্কার কার্যক্রম শেষে ভালো কাজ করছে। কিন্তু এ্যাকর্ডের কাছে সঠিক তথ্য না পৌঁছায় বর্হিবিশে^র ক্রেতাদের কাছে সঠিক তথ্য যাচ্ছে না। তাই একর্ডকে আমরা অনুরোধ করছি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে নতুন করে যেকোনো শর্ত আরোপের ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যেনো একটু আলোচনা করে। তাহলেই পূর্ণাঙ্গ তথ্যটা পেতে সহজ হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল আমারি’তে ‘ওয়ার্কশপ অন ফায়ার সেইফটি ইস্যু এন্ড টেকনিক্যাল গাইড লাইন’ শীর্ষক এক ওয়ার্কশপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রুবানা হক বলেন, এ্যাকর্ডের ক্ষেত্রে যা ঘটছে তাহলো তাদের প্রথম ইন্সপেকশনে আমাদের কারখানাগুলোর যেসব ত্রুটি ধরা পরার কথা ছিলো তা তিন বা চারটা ইন্সপেকশনের পর ধরা পরছে। এর পরে যখন কারখানাগুলোকে সংশোধনীর জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে তা একেবারে কম। কারখানাগুলো ঠিকঠাক করে সংস্কার হচ্ছে না। তিনি বলেন, একর্ডের নিজস্ব কোনো এক্সপার্টিজ না থাকায় তারা ২০১৭ সালে আরেকটি কনট্রাক্টরকে নিয়োগ দিয়েছিলো যার নাম জনসন এন্ড জিউসকে। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৬ বার তারা বাংলাদেশে এসেছে এবং প্রত্যেকবার একটা একটা করে নতুন শর্ত আরোপ করছে। তারা যা ভাবছেন তাও ঠিক। তারা বলছেন তাদের শর্ত পূরণ করলে আমাদের ভালো হবে। কিন্তু তারা যেটা বুঝতে পারছে না তাহলো এই প্রত্যেকটা জিনিস ২০১৩ তে জানার দরকার ছিলো। আজকে ২০১৯ এ এসে এখন এ্যাকর্ডের যখন মেয়াদ বাড়ানো হলো তখন এতগুলো টপিক আসায় আমরা কোনো ফ্যাক্টরিই আর তাল রাখতে পারছি না। যার জন্য আমাদের সংস্কার কাজে বিঘœ ঘটছে এবং আমাদের উন্নতিও অনেক কম হচ্ছে। এর ফলে এমনটা হচ্ছে যে বিশে^র অন্যান্য দেশের ক্রেতাদের সাথে এ্যাকর্ড যখন যোগাযোগ করে বলছে যে এই ফ্যাক্টরির প্রগ্রেস কম ফলে ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছে। তাই এ্যাকর্ডের কাছে আমাদের অনুরোধ কোনো কারখানা সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করতে যেনো একটু বিজিএমইএ এর সাথে আলোচনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর নেতারা ছাড়াও এ্যাকর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : রাশিদ/মহসীন
আপনার মতামত লিখুন :