সালেহ্ বিপ্লব : আবারো নাটকীয়তায় জন্ম দিলেন ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে ১৯৮৭ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের আসার ঘটনা নিয়ে সারাবিশ্ব যখন বিস্মিত, তখনই নতুন ঘোষণায় তিনি জানালেন, নতুন চুক্তি দরকার। আর এই চুক্তিতে থাকার ব্যাপারে চীন ও রাশিয়া, উভয় দেশই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বিবিসি
রাশিয়ার সঙ্গে আইএনএফ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কী করে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা হবে, হোয়াইট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এই প্রশ্ন করেন এক রিপোর্টার। জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন যে চুক্তির কথা বলছি, তা বিশ্বের জন্য এক বিশাল ব্যাপার হবে। চীন ও রাশিয়ার সাথে কথা হয়েছে। উভয়েই এই প্রস্তাবে চমকৃৎ হয়েছে, ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভের মধ্যে ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তি (আইএনএফ)স্বাক্ষরিত হয়। এ বছরের শুরুতে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে রাশিয়া এই চুক্তির নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। এই চুক্তির আওতায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার সীমার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি রাশিয়া বেশ কিছু ৯এম৭২৯ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরী করেছে। ন্যাটোও যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবিকে সমর্থন করে। তবে মস্কো সবসময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এই বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘রাশিয়া এই চুক্তি বাতিলে এককভাবে দায়ি। আমাদের ন্যাটো মিত্রদের সমর্থন নিয়েই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই চুক্তির প্রতি আমাদের আরো কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’
অন্যদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে, এই চুক্তি এখন মৃত বা বাতিল হয়ে গেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই রাশিয়াকে ২ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। চুক্তি বাতিলের খবর প্রকাশের পর রাশান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই চুক্তি থেকে রাশিয়ার দায়বদ্ধতা প্রত্যাহার করে নেন।
আপনার মতামত লিখুন :