শিরোনাম
◈ ব্যবসায়ী ট্রাম্পের ‌‘লেনদেনভিত্তিক কূটনীতিকে’ মেনে নিয়েই কাজ করছে বাংলাদেশ ◈ যেসব সিদ্ধান্ত এলো বিজিবি-বিএসএফের সীমান্ত সম্মেলন থেকে  ◈ রাতে পরপর গুলির শব্দ, উদ্ধার হলো ৩ যুবকের মরদেহ ◈ এবার রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট ◈ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে এখন ছাত্ররাই কেন সংগঠন তৈরি করছে? ◈ শিবির নেতার ওপর হামলা, ছাত্রদলকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বার্তা ◈ পশ্চিমতীরে তীব্র অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, আফগানিস্তানকে ১০৭ রানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা ◈ স্ত্রীর সামনে ফিল্মি স্টাইলে যুবদল কর্মীকে কু.পিয়ে হত্যা ◈ সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোয় রেকর্ড হলেও রেমিট্যান্স আয়ে পতন কেন?

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:১৬ সকাল
আপডেট : ০২ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপনি এই কোম্পানিগুলোর প্রতি কঠোর হোন

কামরুল হাসান মামুন : প্যাকেটজাত পাস্তুরিত দুধে খারাপ এলিমেন্ট আছে বলা যাবে না কারণ এগুলো বড় বড় কোম্পানির। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি শুধু কোম্পানির স্বার্থই দেখলেন? হ্যাঁ এতে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বটে, কিন্তু সঙ্গে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কথা ভাবলেন না? নাকি এরা এখন আর ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না? কোম্পানি ঠিক হয়ে গেলে খামারিরাও ঠিক হয়ে যাবে। অধ্যাপক ফারুকের উপর আপনার রাগ ঢালার আগে দেশে ফিরে অধ্যাপক ফারুককে ডেকে তার কথাও শুনতে পারতেন। তাছাড়া বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবির পরীক্ষাতেও প্রায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে। এসব না জেনে ‘দুধ আমদানিকারকদের কারসাজি আছে কিনা খতিয়ে দেখা উচিত’ এই কথা বলাটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে? প্যাকেটজাত গুঁড়া মসলা পরীক্ষা করলেও আমার ধারণা এর চেয়ে আরও বেশি বিষ পাওয়া যাবে। কেউ যদি ওটা গবেষণা করে ও রকম কিছু পেয়ে জনসমক্ষে কিছু বলে তখনো কি আপনি শুধু কোম্পানির স্বার্থই দেখবেন? সেক্ষেত্রে কিন্তু কৃষকদের তেমন দায়ী করা যাবে না। আপনি এই কোম্পানিগুলোর প্রতি কঠোর হোন। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম ক্ষুদ্র গরিব মানুষেরা ধান, চাল, আটা, লবণ, গুড় ইত্যাদির ব্যবসা করতো। তখন প্যাকেটজাতের প্রচলন ছিলো না। এই কোম্পানিগুলা এসে যখন থেকে প্যাকেটজাত করে ব্যবসা শুরু করলো তখন থেকেই দুই নম্বরি শুরু। শুনি মোটা চালকে মেশিনে কেটে দামি মিহি চাল বানিয়ে বিক্রি করে। এগুলো ওই অশিক্ষিত গরিব ব্যবসায়ীরা চিন্তাও করতে পারতো না। প্যাকেটজাত করার ফলে একদিকে পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে পরিবেশের বারোটা বাজিয়েছে। অন্যদিকে বেশি মুনাফার জন্য যা যা করার কথা তারা তাই করেছে।

তারা এতো বড়োলোক যে, এক টাকা দুই টাকা লাভ তাদের কাছে কিছুই নয়। একদিকে দাম বাড়ানো, অন্যদিকে মান কমানো সঙ্গে বিষ মেশানো। ইত্যাদি করে এরা দ্রুত ফুলেফেঁপে উঠেছে। আমি যতোবার প্যাকেট ছোলা কিনেছি দেখেছি ২৫ শতাংশ ছোলা পোকা খাওয়া। আমি যতোবার ইসুবগুলের ভুষি কিনেছি ঠকেছি। আটা কিনেছি ঠকেছি। যেহেতু প্যাকেটজাত তাই পরখ করে কেনা সম্ভব হয় না। কতোবার দুধ কিনে এনেই দেখি নষ্ট। কতোবার দুধ পান করে দেখি কেমন যেন গন্ধ। এসব ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না। আপনি তো এসব বুঝবেন না। কারণ হয় আপনি অর্গানিক খান অথবা বিদেশ থেকে ইমপোর্টেড জিনিস খান। যদি না হতো এমন করে বলতে পারতেন না। ফেসবুক থেকে

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়