হ্যাপি আক্তার : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছিটমহল বিনিময়ের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উৎদযাপন করছেন কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ের ছিটমহলবাসী। এ উপলক্ষ্যে রাত ১২টা ১মিনিটে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। ডিবিসি নিউজ ১২:০০।
বিলুপ্ত ছিটমহলগুলো মূল ভূখণ্ডে যুক্ত হওয়ায় বদলেছে বাংলাদেশের মানচিত্র। ভাগ্য বদলেছে নতুন নাগরিকদেরও। মাত্র চার বছরেই সব সুযোগ সুবিধা মেলায় উচ্ছসিত নতুন বাংলাদেশিরা।
বর্ষপূর্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দারা। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পঞ্চগড়েও ছিলো নানা আয়োজন। রাত ১২টা ১মিনিটে সদর উপজেলায় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে মোমবাতি ও মশাল প্রজ্বলন করা হয়।
এই দিনেটিকে ছিটমহল বিদস অথবা ছিটমহল স্বাধীনতা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি ছিটমহল বাসীর।
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রথমবারের মতো এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বিলুপ্ত ছিটমহল বাসিন্দারা। কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড় জেলার বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের প্রায় ২২ হাজার মানুষ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
২০১৫ সালের পহেলা আগস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হয়। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান/সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :