বেলাল হোসেন: শুকরের নাড়ি-ভূড়ি ও হাড়-গোড়ে তৈরি মাছের খাবার আমদানির অভিযোগ উঠেছে কিছু আমদানিকারকের বিরুদ্ধে। ইনডিপিন্ডেট
নমুনা পরীক্ষায় এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে মাছের খাদ্যের ৩টি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।
এসব খাবার খেয়ে বড় হওয়া মাছ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলছেন গবেষকরা। এছাড়া শুকরের হাড়ে তৈরি মাছের খাবারের সাথে ধর্মীয় বিষয়াদিও জড়িত। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য আমদানিতে চালানে মুদ্রা পাচারের অভিযোগও আনা হতে পারে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আয়শা করপোরেশন ভিয়েতনাম, মানিকগঞ্জের স্পেকট্রা হেক্সা ফিডস লিমিটেড থাইল্যান্ড এবং ঢাকার মগবাজারের প্রোমেক অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টস লিমিটেড ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬০ কন্টেইনার ভর্তি দেড় হাজার মেট্রিক টন মাছের খাবার আমদানি করে। এরইমধ্যে আয়শা করপোরেশন ৩২১ মেট্রিক টন বন্দর থেকে খালাস করেছে।
শুল্ক বিভাগ এসব পণ্যের নমুনা রাজধানীর আইসিডিডিআরবি এবং চট্টগ্রামের পোল্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে পরীক্ষা করায়। সেখানে তিন চালানেই পাওয়া যায় শুকরের বর্জ্য ও হাড়ের উপস্থিতি যা আমদানি নিষিদ্ধ মিট অ্যান্ড বোন মিল নামে পরিচিত।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, আপাতত তিনটি চালানে মিট অ্যান্ড বোন মিলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যেগুলো আটক করা হয়েছে আজকালের মধ্যেই আমদানিকারক বরাবর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা হবে।
মাছের খাবারের নামে আমদানি চালানে শুকরের হাড়-মাংসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষও। এসব উপাদান থেকে মানুষের শরীরে মারাত্মক রোগ সংক্রমণে কথাও জানিয়েছেন গবেষকরা।
পোল্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, শুকরের মাংস তো ধর্মীয়ভাবে নিষেধ, যা মানুষের ধর্মীয় অনুভ‚তির ব্যাপার। আবার গরুতে ম্যাডকাউ রোগ হয় খাদ্যের মাধ্যমে এগুলো মানবস্বাস্থ্যে আসতে পারে। এজন্য সরকার এসবের পরিবর্তে ফিশ ফিড, পোল্টি মিল বা সয়াবিন জাতীয় খাদ্য আনার ব্যাপারে নির্দশেনা দিয়েছে।
মানিকগঞ্জের আমদানিকারক স্পেকট্রা হেক্সা ফুডের কারখানায় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, আমদানির বিষয়ে বলতে পারবো না, ওটা দেখেন কমার্শিয়াল সাইট, তারা হেড অফিস বসেন। এগুলো কেনাবেচা সবকিছু তারা হ্যান্ডেলিং করেন।
চট্টগ্রাম এবং ঢাকার আমদানিকারকের দেয়া ঠিকানায় গিয়ে ওই নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুয়া নামে ওইসব প্রতিষ্ঠান আমদানি করে বলে ধারণা শুল্ক কর্মকর্তাদের। সম্পাদনা: রাকা
আপনার মতামত লিখুন :