শিরোনাম
◈ জুনের মধ্যেই একসঙ্গে করা সম্ভব পাঁচ স্থানীয় নির্বাচন: সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ◈ ঝিনাইদহে তিন জনকে হত্যা ও 'চরমপন্থি দলের দায় স্বীকার' নিয়ে ধোঁয়াশা ◈ নিজ জমির মতো ভোটকেন্দ্রও পাহারা দিতে হবে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ◈ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান সারজিস আলমের (ভিডিও) ◈ এসব অপমানজনক কথায় আমি ভয় পাই যতোটা, মন খারাপ হয় তারচেয়ে বেশি: আসিফ নজরুল ◈ কী বার্তা দিচ্ছে আখতারের ফেসবুক পোস্ট  ◈ বিবিসিকে তিন লাখ ৯৮ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা ◈ মাস্কের ছেলের কাণ্ডে ডেস্কই সরিয়ে ফেললেন ট্রাম্প! (ভিডিও) ◈ ইংলিসের শতকে রানের রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া ◈ মাইকে ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজির ভিডিও ভাইরাল, যুবদল নেতা বহিষ্কার (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করপোরেট হাউজগুলো কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দিলেও মিডিয়ায় কেন নেই?

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা : সকালে অফিস পথে স্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ... সে একটি বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। তাদের প্রতিটি কর্মীর একটা ক্যারিয়ার পথ আছে। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি আছে, আছে চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা। মিডিয়ায় কেন নেই? মিডিয়া সবার সমালোচনা করে, সবাইকে শিক্ষা দেয়, অথচ নিজেদের ভেতর কোনো প্রাতিষ্ঠানিকতা নেই। প্রভিডেন্ট ফান্ড বেশিরভাগ হাউজে নেই, গ্রাচুইটি নেই... বেতন অনিয়মিত, ইনক্রিমেন্ট নেই। কর্মীদের কোনো ক্যারিয়ার পথ গড়ে দিতে পারে না। এমন এক হতাশ সাংবাদিক সমাজ নিজের এই দুরবস্থায় রাষ্ট্র ও সমাজকে কি দেবে?

নির্বাচিত মন্তব্য : মাসুদা ভাট্টি-১. মিডিয়া ব্যবসা নয়, ‘ফিল্যান্থ্রপি’ যা এদেশে দাঁড়ায়নি। এদেশে মিডিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘ঠাটবাট’ বজায় রাখার ‘টুলস’, তাই টুলসের আবার গ্রাচুইটি/প্রভিডেন্ট ফান্ডের দরকার কি? টুলসের যা কাজ তাই-ই সাংবাদিকরা করতে বাধ্য! থাকলে থাক না হলে রাস্তা মাপো! ২. রহমান মাহবুব-এক মিডিয়াকর্মী বন্ধু ক্ষোভের সঙ্গে একদিন বললো, মিডিয়া মালিকরা অনেক ধনের মালিক। তাদের সম্পদের খুব সামান্য এ খাতে বিনিয়োগ করে, তবে লাভ বেশ হয়। তাদের জীবনকে উর্বর করার জন্য বিশেষ জাতের প্রাণী শিকারের ফাঁদ এটি। তারা বেশ সুখেই থাকে। কর্মীর কল্যাণ নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায়...?

৩. আলম মেহেদী- লতা থেকে সাংবাদিকদের ধীরে ধীরে বৃক্ষ হওয়ার সুযোগ একসময় এসেছিলো। একশ্রেণির নেতৃত্ব গোটা সাংবাদিক সমাজকে আরও ক্ষীণকায় লতায় পরিণত করে সে সুযোগকে বেচে নিজেরা কলাগাছ হয়ে গেছে। মালিকানায়ও কোনো সাংবাদিক বা মিডিয়াবান্ধব কেউই নেই। সুতরাং দু’গ্রুপ ধান্ধাবাজের কাঁঠালপাতা যার হাতে, সে হচ্ছে ক্ষমতাবান শাসক। তার পোয়া সবসময়ই বারো, এখন সেটা ষোলো আনায় পরিপূর্ণ। বেচাবিক্রিতে পড়ে খাঁটি নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক মাসের পর মাস বিনাবেতনে এক ধান্ধাবাজের কারখানায় কলম পেষে আর আরেক ধান্ধাবাজের ডাকা মানববন্ধনে বিরসবদনে দাঁড়ায় আর প্রহসন-মিছিলে খালিপেটে অবিরাম হাঁটে, হেঁটেই যায়। লবণ চাখতে চাখতে পুরো ব্যঞ্জন খেয়ে ফেলা নেতৃত্ব থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে এদেশে সাংবাদিকতা পেশা অপুষ্ট বিবর্ণ মুকুলই থেকে যাবে। পুষ্টিলাভ ঘটবে ‘অসাংবাদিক’ দালাল শ্রেণির। সে প্রক্রিয়া ফুলেফেঁপে বেগবান। পাদটীকা : আমি একজন সংবাদপত্র মালিককে বলতে শুনেছি, তিনি সাধারণত বিবাহিত না হলে কাউকে তার পত্রিকায় চাকরি দেন না। কারণ পেছনে সংসারের জোয়াল না থাকলে সাংবাদিকদের লাইনে রাখা যায় না। নানা রকম দাবি-দাওয়া নিয়ে মিছিল-টিছিল করে, কলম ধর্মঘট করে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়