মোহাম্মদ মাসুদ : ছোট-খাট অপরাধীদের কারাগারে পাঠিয়ে বিচারকরা বড় অপরাধী তৈরি করছেন। শনিবার সকালে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে এমন মন্তব্য করেছেন সুপ্রিমকোর্ট জুডিশিয়াল রিফর্মস কমিটি প্রধান বিচারপতি ইমাম আলী। চ্যানেল ২৪
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের বিচারকরা জানান, প্রথমবারের অপরাধ অথবা ২ বছরের কম সাজা হলে অপরাধীকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেয়া হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছোট-খাট অপরাধের সাজা দেয়া হয় সংশোধানাগারে পাঠিয়ে। কিন্তু আইন থাকার সত্বেও বাংলাদেশে এমন অপরাধীদের যেতে হয় কারাগারে। বিষয়টা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে ঢাকা বিভাগের বিচারক, অতিরিক্ত কারামহাপরিদর্শক ও সমাজ সেবক কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে সুপ্রিমকোর্ট।
বিচারপতি ইমাম আলী বলেন, ছোট-খাট অপরাধে প্রথমবার সাজা দেয়ার ব্যাপারে সর্তক না থাকলে কারাগারে গিয়ে অনেকেই বড় অপরাধী হয়ে বের হবে বরং সমাজসেবার সহয়তায় সংশোধানাগারে পাঠালে কারাগারে বন্দির সংখ্যাও কমবে।
সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল রিফর্মস কমিটির প্রধান বিচারপতি ইমাম আলী বলেন, আমাদের সামনে অপরাধী আসলে, আমরা ধরে নেই খারাপলোক। জেলে রাখা ভালো, সমাজ এদের থেকে বাঁচবে। কিন্তু আমরা কখনো চিন্তা করি না এই লোকটা কেন খারাপ হলো। জেল খুব ভালো জায়গা নয়। কারণ জেলে চুনোপুঁটিরা গিয়ে বড় অপরাধী হয়ে বের হয়ে আসে।
৫ ঘন্টার আলোচনায় প্রায় ৬০ বিচারকেরই অভিমত, অধ্যদেশের বিষয়টি তাদের অজানা। আবার অনেকেই আইনটির অপব্যবহারের আশঙ্কার কথাও তুলে ধরেন।
এসময় কারাগারের অতিরিক্ত মহাসচিব আইজি প্রিজন্স কর্নেল বলেন, বেশিরভাগ অপরাধী কারাগার থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি আরো বলেন, কিছু অপরাধীদের কথা বলতে পারি, যারা কোনোভাবে মোবাইল ফোন হাতে পায়ে জেলে বসেই যোগাযোগ করেন অপরাধী চক্রের সঙ্গে। বিশেষ করে গ্রাম ও উপজেলায় এ বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করছেন। সম্পাদনা : রাকা চৌধুরী।
আপনার মতামত লিখুন :