ইয়াসমিন : শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হেপাটোবিলিয়ারি বিভাগের আউটডোর চালু হয়েছে। এই আউটডোর শুধু নির্দিষ্ট রোগীর চিকিৎসা করবে, যা হাসপাতালে এসে রোগীদের হয়রানি কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৫ জুলাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় এই আউটডোরটির। ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালে ৫০টিরও বেশি রোগীর হেপাটোবিলিয়ারী সার্জারি হয়েছে। যার মধ্যে হুইপলস, তাজমহল সার্জারিসহ বড় বড় সার্জারিও রয়েছে।
এই বিভাগ সম্পর্কে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে এই প্রথম হেপাটোবিলিয়ারী আউটডোর চালু করলো। আমরা আমাদের দক্ষ সার্জনদের মাধ্যমে অনেক বড় বড় সার্জারি ইতিমধ্যেই করেছি। রোগীদের আস্থা অর্জনে আমরা বরাবরের মতোই বদ্ধপরিকর।
হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারী সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আখতার আহমেদ জানান, নতুন এই কার্যক্রমে রোগীরা অনেক উপকার পাচ্ছেন। এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার আগে শুধু বিএসএমএমইউ ও বারডেম হাসপাতালে হতো। এখন থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও আমরা এই সেবা দিতে পারছি। আশা করছি অচিরেই লিভার ট্রান্সপ্লান্টের মতো জটিল সার্জারিও আমরা করতে পারবো।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন ফিরোজা বেগম (৪৫)। জ্বর, পেটে ব্যাথা, বমি আর জন্ডিস এর জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি অগ্ন্যাশয় ও পিত্তনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা তার অপারেশন করার পর তিনি এখন সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, আমার তো এতো টাকা নাই যে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করবো। এখানে অপারেশন করতে পারায় আমার অনেক বড় উপকার হয়েছে।
সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. রাজীব দে সরকার বলেন, রোগীদের বিদেশ যাওয়ার যে প্রবণতা গত কয়েক বছরে আমরা লক্ষ্য করেছি, এ ধরনের বিশেষায়িত সেবা ইউনিট সেই প্রয়োজনকে অনেকখানি কমিয়ে আনবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সপ্তাহের দুদিন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই বিভাগ খোলা থাকে। সম্পাদনা: আহসান, সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :