আহমেদ শাহেদ ও মিলটন খন্দকার : বুধবার রাতে নিহত মুন্নার বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে তিনি কাউকে সুনিদিষ্ট আসামী করেননি । যেহেতু ঘটনার সময় মুন্না বাসায় একা ছিলো, আসামীদের চেনা বা জানার কোনো সুযোগ ছিলো না। তবে রাতেই পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। ভোরে থানার ডিউটি অফিসার এএস আই মিজান জানান, প্রথম কাজ আসামীদের চিহ্নিত করা। পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
বুধবার সকালে টঙ্গীর কাজীপাড়া চন্দ্রিমা সোসাইটি এলাকায় নিজ বাসায় খুন হয় মুন্না। এসময় তার বাবা মিজানুর রহমান অফিসে ছিলেন। মা তার ছোট ভাইকে স্কুলে পৌছে দিতে গিয়েছিলেন। তিনি স্কুল থেকে ফিরেই মুন্নার নিথর দেহ খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুন্নার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গিয়েছিলো এবং কণ্ঠনালী ছিল কাটা।
পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, পরিচিত বা বন্ধু-বান্ধবের কেউ এ হত্যাকাণ্ড সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহত তাউসিফুল ইসলাম মুন্না (১৩) রাজধানীর মগবাজার বিএফ শাহিন একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। ময়না তদন্ত শেষে প্রথম জানাজার পর তার মরদেহ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার তাঁতেরকাঠি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :