মোস্তফা ফিরোজ : মি. ট্রাম্প, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আপনি এতোক্ষণ চীন, উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ইরান, ইরাক, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের ধর্মীয়, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত নিপীড়ন-নির্যাতনের নানা বর্ণনা শুনেছেন। কিন্তু আপনি অবাক হবেন, বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। আমি আপনাদের দেশে এসেছি বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সম্প্রদায়ের পারস্পারিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে কথা জানাতে। আমাদের কাছ থেকে আপনার দেশ এবং সম্মেলনে আসা দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও শিক্ষা নিতে পারে। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ আশি ভাগ মুসলমানদের বসবাস হলেও এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানুষেরা নিরাপদে ও সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করে।
বাংলাদেশের সংবিধান সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু বিগত সময়ে কিছু রাজনৈতিক সমস্যার কারণে আমাদের গণতন্ত্রের যাত্রাপথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সংবিধান সংশোধনও হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো মহল ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কিছু জঙ্গি কর্মকা-ও হয়েছে। কিন্তু আপনাদের ও অন্যান্য দেশের তুলনায় সেটা খুবই কম। কেননা এদেশে সব ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে একাট্টা হয়ে বসবাস করে আসছে। ধর্মীয় আনন্দ-উৎসবেও সবাই একসঙ্গে মিলিত হয়। কোনো ভেদাভেদ নেই। বিগত বছরে দেশের রামু এবং নাসিরনগরে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা হয়েছিলো সত্য, কিন্তু এদেশের মানুষ তা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করে দিয়েছে। বিশ্বের কাছে ধর্মীয় সম্প্রীতির রোল মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ। এসব কারণে সারাবিশ্ব যাতে বাংলাদেশের কাছ থেকে ধর্মীয় সম্প্রীতির শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য আগামী বছরে ইন্টারন্যাশনাল ধর্মীয় সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠানের বিষয়ে মি. ট্রাম্প আপনার সহযোগিতা চাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :