লীনা পারভীন : হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা কি জেনেবুঝে হিন্দুদের হিসাব দেন না, ঘুমে থাকেন? ১৯৪৭ সাল থেকে হিন্দুদের হিসাব দিলে চলবে কেমনে? তবে এটা পরিষ্কার যে এই সংগঠনটির হিসাবে গ-গোল আছে এবং এ নিয়ে তাদের বিস্তর গবেষণার দরকার, যেহেতু তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করে। তারা কেবল হিন্দুদের হিসাব কেন দেন? বাকি দুই ধর্মের লোকেরা কি ঢেউটিন? এ ধরনের ধর্মীয় সংগঠনের বাস্তবতা আমি মনে করি একদম ‘জিরো’। কোন প্রয়োজনে এই সংগঠন? আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম কী? তাদের নেতারা রাষ্ট্রের কোন কাজে লাগে? অমুসলিম জনগণের অধিকার আদায়ে তারা কি কি ভূমিকা রাখছে?
সরকারকে তারা কেমন করে সহায়তা দিচ্ছে বা কোন কোন জায়গায় সরকারের সঙ্গে বার্গেনিং করে জয়লাভ করেছে? নাকি কেবল নেতা হয়ে ভুঁড়ির সাইজ বাড়িয়ে ইস্যুভিত্তিক চেহারা প্রদর্শনই মূল উদ্দেশ্য? বিষয়গুলো পরিষ্কার করার সময় এসেছে সম্ভবত। আমি একটা বিষয় বিশ্বাস করি আর সেটা হচ্ছে যদি তারা মনে করে এ দেশটাও তাদের তবে নিজের অধিকার নিজেদেরই আদায় করতে হবে। আর দশটা বিষয় যেভাবে সমাধান করতে হয় এই বিষয়টিও সেভাবেই নিতে হবে। করুণার অধিকার অস্থায়ী হয় আর কোনো সম্প্রদায়কে সবল আর নিজেদের দুর্বল ভেবে নিজেরাই যদি আলাদা হয়ে যায় তাহলে বিভক্তি এখানে অবশ্যম্ভাবী। মানসিকতার পরিবর্তন দরকার অনেক। সমাজের এটাই নিয়ম যে, দুর্বলের উপর সবল অত্যাচার করবেই সে ধর্মের হিসাবে হোক বা জাত, বর্ণ বা লিঙ্গ যাই হোক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :