ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিপীড়নের যে অভিযোগ করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
শুক্রবার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক সমাবেশে যোগ দিয়ে লন্ডন রওনা হওয়ার আগে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এমন আচরণের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তার এ বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোমেন বলেন, প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা একেবারেই মিথ্যা। বিশেষ মতলবে এমন উদ্ভট কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার নালিশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের উদ্দেশ্যেই প্রিয়া সাহা এই ধরনের বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত বুধবার হোয়াইট হাউজে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ করেন প্রিয়া সাহা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশে সরকারী কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু, যদিও তারা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ।
তিনি বলেন, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেছেন। তাই প্রিয়া সাহার বক্তব্য যে অন্তঃসারশূন্য এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে জঘন্য মিথ্যাচার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মোমেন আরও বলেন, এ ধরনের অভিযোগে প্রকারান্তরে শান্তিপূর্ণ সমাজে বিশৃঙ্খলা উসকে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তা কখনও হতে দেবে না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হচ্ছে না, সেই গোষ্ঠির উদ্দেশ্য পূরণেই প্রিয়া সাহা এই অভিযোগ করেছেন বলে মন্তব্য করেন এ কে মোমেন।
উৎসঃ যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :