হাসান শান্তনু : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা নামের সনাতন ধর্মের অনুসারী এক নারীর অভিযোগের ‘তথ্য’ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। বিতর্কের চাপে এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্ষণ, তাদের সম্পত্তি দখল কয়েক দশক ধরে যেভাবে চলে আসছে, সেগুলোকে অস্বীকার করা যায় না। প্রিয়া সাহার অভিযোগের জবাবে অনেকে এমন বাক্য লিখছেন ফেসবুকে যেন মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধীদের কথিত ‘পবিত্র আমানত’ হিসেবে সংখ্যালঘুরা এদেশে ‘নিরাপদ’ ছিলেন, আছেন!
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘ইসলাম নাশের’ অভিযোগ তুলে তাদের উপর জিহাদি জোশে মৌলবাদী লেলিয়ে দিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার চেষ্টা এদেশেই চলে। রাজনীতির মাঠে ভিন্ন ধারা থাকলেও সংখ্যালঘু নির্যাতনে দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের ধর্ম একই। সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে দেশ ছাড়া করতে পারলে বিএনপির দুটি লাভ। তাদের সম্পত্তি, জমি দখল হয় আর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের ‘ভোট’ কমে। জামায়াত বা ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর এ ‘জেহাদে’ লাভ হয় তিনটি, সম্পত্তি দখলে আসে, শত্রুপক্ষ আওয়ামী লীগের ভোট কমে, দেশ ‘বিধর্মীমুক্ত’ করার পথে সফল হওয়ায় ‘বেহেশতের টিকিট’ নিশ্চিত হয়। আর সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়া করতে পারলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার লাভ হয় একটি, তাদের সম্পত্তি দখল করা যায়। দিনে দিনে রাজনীতিতে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এতো প্রবল হয়ে উঠছে, কোনো দলের প্রধান যদি হন উগ্র মুসলমানদের মুখ, তো অন্য দলের নেতা প্রকৃত প্রগতিশীল হওয়ার বদলে নরম মুসলমানদের মুখ হয়ে ওঠার কৌশল করেন। চারপাশে এমনই চলছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :