হাসান শান্তনু : হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো অনিয়ম আছে কিনা, দেখার দায়িত্ব নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা! হতে পারে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কেউ নিজের বৈশিষ্ট্যগত দুর্বলতার বশে ধরে নিয়েছেন, সৌদিতে কোনো কোনো এলাকায় আগের রাতেই কেউ কেউ হজ সেরে নিতে পারেন! ইভিএম না থাকলে যেভাবে আগের রাতেই ভোটের বাক্স ভরাট করে রাখা যায়।
হজে সরকারি ব্যবস্থাপনার অনিয়ম দেখার আলাদা মন্ত্রণালয় আছে, বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে সরকার লোকও রাখছে। সেখানে সাংবিধানিক সংস্থা ইসির প্রধানের জড়িত হওয়া শুধু অসাংবিধানিকই নয়, বিষয়টা যথারীতি হাস্যকর, অপচয়ের। এমনকি সন্দেহ বা ধারণাযুক্ত উদ্বেগেরও। হজ ব্যবস্থাপনা দেখতে সিইসির সঙ্গে সৌদি সফরে সঙ্গী ঢাউস বহর। রাষ্ট্রীয় টাকা অপচয় করে সিইসির নেতৃত্বে এভাবে সৌদি ভ্রমণ দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে নতুন রেকর্ডের জন্ম দেবে। ধারণাযুক্ত উদ্বেগের হচ্ছে ইসির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কী ‘রাজনৈতিক মুসলমানিত্বের’ হাওয়া লাগছে? কেউ ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে ব্যক্তিগত খরচে ধর্মীয় আদেশ পালন করলে তা নিয়ে প্রশ্নের কোনো সুযোগ নেই। ধর্মে বিশ্বাস, পালন যেকোনো মানুষের নিষ্পাপ অধিকার। রাষ্ট্রের টাকার অপচয় করে রাজনৈতিক হজ নিয়ে যেকোনো নাগরিক গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় কথা বলতে পারেন। সব নাগরিকের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্বে থাকা কোনো প্রতিষ্ঠান সংখ্যাগরিষ্ঠদের অনুভূতির খেলায় অংশ নিলে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :