ঢাবি করেসপন্ডেন্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদ্দিন হলের ছাত্র সংসদের ভিপি,জিএস এবং এজিএসের বিরুদ্ধে ক্যানটিন মালিকের কাছ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জুলাই রাত সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।যাতে দেখা যায়,ক্যানটিন মালিক হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক রহমতুল্লাহর ডিন কার্যালয়ে বসে অভিযোগ করেন।ক্যানটিন মালিক মনির হোসেন বলেন,আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।পরে আমি সুদের উপর টাকা নিয়ে তাদের এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা শোধ করি।কারা টাকা নিয়েছেন এমন প্রশ্নে প্রথমে মুখ খুলতে চাচ্ছিলেন না।পরে তিন জন নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।তিনি বলেন,হল সংসদের ভিপি ফরহাদ আলী ভাই,জিএস ইমাম হোসেন এবং এজিএস সায়ফুল ইসলাম ভাই।টাকা না দিলে ক্যানটিন বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা বলেও ভিডিওতে মনির হোসেন অভিযোগ করেন।
এদিকে এ ঘটনা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা বলে দাবি করছেন হল সংসদের ভিপি ফরহাদ আলী।তিনি বলেন,সামনে ছাত্রলীগের হল কমিটি আসতেছে।সেখানে সভাপতি সেক্রেটরী আমাদের মধ্য থেকে হতে পারে সেজন্য তারা আমাদের মাইনাস করার জন্য এ আয়োজন করে।তিনি আরও বলেন,বিভিন্ন কাজ আমরা তিনজনই করি।এই জন্য আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যান্য সম্পাদকরা একাজ করেছে।এ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতামনা।ক্যানটিন মালিককে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উঠিয়ে নিয়ে গেছে এবং তাকে জোর করে এসব বলাতে বাধ্য করা হয়েছে।মানহানিকর মামলা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এব্যাপারে হল সংসদের এজিএস সায়ফুল ইসলাম বলেন,এগুলা মিথ্যা বানোয়াট ভাই।আপনি চাইলে শুনতে পারেন।তবে তিনি প্রথমে দাবি করেন আমার নাম ভিডিওতে একবারও শুনেছেন?সে বারবার দুজনের নাম তথা ফরহাদ-ইমামের কথা বলেছে।পরে পাশ থেকে একজন যখন বলছে সায়ফুল ছিলনা তখন আমার নাম বলছে।তাহলে ভিপি-জিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য আপনি সেটাই বুঝাচ্ছেন?এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,এটা হচ্ছে আমার প্রথম কথা।আর দ্বিতীয় হচ্ছে হলের যারা ক্যান্ডিডেট আছে তারা বিদ্বেষপূর্ণ ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
ক্যান্টিন মালিককে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে এবং তাকে বলা হয়েছে এসব কথা না বললে অন্যকাউকে নতুন টেন্ডার দিয়ে দেওয়া হবে।এসব সে আমাদেরকে এসে বলছে।আপনি চাইলে প্রমাণ নিতে পারেন। এদিকে হল সংসদের ভিপি,জিএস এবং এজিএসের বিরুদ্ধে হলের দোকান এবং ওয়াফাই সার্ভিস হোল্ডার কারীদের থেকেও চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ করেন জসিম উদ্দিন হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ শিক্ষার্থী বলেন,নিজ চোখে দেখেছি তারা হলের দোকান এবং ওয়াফাই সার্ভিস হোল্ডারদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে। এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :