খালিদ আহমেদ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এসময়ের মধ্যে দেশের শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যয়ের সিংহভাগ বাস্তবায়ন হবে। এ দায়িত্ব পালন করবে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রের সুস্পষ্ট সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হবে। জনগণের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন এই অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এখন। ক্রমাগত বিনিয়োগ বাড়ছে, রপ্তানি ও প্রবাস আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় আছে। নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মূল্যস্ফীতি। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে শিগগিরই।
এছাড়া নওগাঁ-২ আসনের শহিদুজ্জামান সরকারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাঁচ বছর মেয়াদে ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসময় ৯৯ লাখ শ্রমিক কাজে যোগ দেবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে শ্রমিকদের বৈদেশিক কর্মসংস্থনের অংশ ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে।
প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশের শ্রম বাজারে প্রবেশ করছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করা চ্যালেঞ্জিং কাজ। গেল ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন ইপিজেডে ৩ লাখ ৫ হাজার ২৪২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, এই সরকারের মেয়াদে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৫ হাজার ৫৪৬টি পদ সৃজনের সম্মতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৬০৫টি পদের ছাড়পত্র প্রদান করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :