ডেস্ক রিপোর্ট : আমসহ মৌসুমি ফলে ক্ষতিকর কেমিক্যালের ব্যবহার রোধসংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে রবিবার (২৩ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সাধুবাদ জানান। বাংলা ট্রিবিউন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম। আইনজীবী সরকার এম আর হাসান ছিলেন বিএসটিআইয়ের পক্ষে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, ফলে কেমিক্যালের ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে রিটের শুনানি চলছিল। তখন হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংসের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।
তখন আদালত বলেন, ‘আমাদের অনেক আদেশই বাস্তবায়িত হচ্ছে। উচ্চ আদালত থেকে ঋণখেলাপির তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সে তালিকা সরকার প্রস্তুত করে জাতীয় সংসদে প্রকাশ করেছে। এটা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ব্যাংকিং খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণের সুদ মওকুফসংক্রান্ত বিষয় তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন গঠন করার নির্দেশনা রিট দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইআরপিবি) পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।
পরে এই রিটের শুনানি নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে গত ২০ বছরের ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২২ জুন) দেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণখেলাপির তালিকা সংসদে প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে— এমন ১৪ হাজার ৬১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও সংসদে তুলে ধরেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :