শাহীন চৌধুরী: পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের (প্রথম ফেজ) জন্য কয়লা সরবরাহের জন্য ইন্দোনেশিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের পক্ষে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সচিব দীপক কুমার ডালী ও ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি বায়ান রিসোর্সের পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান পরনোমো ইউসগিয়ান টুরো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি সংক্রান্ত দেশের এটি প্রথম চুক্তি।
রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, দেশের উন্নয়ন জনগণের সামনে তুলে ধরা গণমাধ্যমের অন্যতম দায়িত্ব। সরকার পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন করছে। উন্নতর প্রযুক্তির জন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কার্বণ নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাছাড়া বাংলাদেশে কার্বণ নিঃসরণের হার খুবই কম। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি), চায়না এর যৌথ উদোগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড গঠিত ও নিবন্ধিত হয়। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির ১ম ইউনিট এ বছরের ডিসেম্বর এবং ২য় ইউনিট আগামী বছরের জুনের মধ্যে উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা যায়।
এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অভিন্ন প্রযুক্তির পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও কোম্পানিটি একই স্থানে ৫০ মেগাওয়াট বায়ুচালিত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে।
নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আমদানিনির্ভর কয়লা দিয়ে পরিচালিত হবে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে সাব-বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহৃত হবে, যার ক্যালরিফিক ভ্যালু ৪৭০০-৫৫০০ কিলোক্যাল। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালাতে বছরে প্রায় ৪ মিলিয়ন মেট্রিকটন কয়লার প্রয়োজন হবে। প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রীনা পি. সোয়েমারনু, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এ এম খোরশেদুল আলম বক্তব্য দেন।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :