রাশিদ রিয়াজ : সুইডেনভিত্তিক ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা সিপ্রি বলছে, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় ছিল এক হাজার ৫০ কোটি টাকা আর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ এ খাতে ব্যয় করেছে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৩২ গুণ। ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৩,৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ২০১৭ সালে যেখানে ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮ সালে ছিল ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ডয়চে ভেলে
২০১৮ সালে বাংলাদেশ জিডিপির (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) ১ দশমিক ৪ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করেছিল। তার আগের তিন বছরেও (২০১৫-২০১৭) হিসাবটি ছিল একই। ১৯৯৫, ১৯৯৭, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ এই চার বছরে বাংলাদেশ জিডিপির শতকরা ১ দশমিক ৬ ভাগ অর্থ সামরিক খাতে ব্যয় করে। আর ১৯৯৬ সালে হারটি ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। টাকার হিসেবে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ খরচ করেছে দুই হাজার পাঁচশ কোটি টাকা আর ১৯৯৯ সালে তিন হাজার ছয়শ’ ২০ কোটি টাকা।
২০১৮ সালে ভারতের ব্যয় ছিল ৬৬ হাজার ৫৭৮ মিলিয়ন ডলার। ফলে সামরিক খাতে খরচের হিসেবে পুরো বিশ্বে ভারতের অবস্থান চতুর্থ। এই সময়ে পাকিস্তানে খরচ ছিল ১২ হাজার ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ এশিয়ায় এরপরই আছে বাংলাদেশ, তিন হাজার ৮২২ মিলিয়ন ডলার।
সিপ্রির হিসেবে, ২০১৮ সালে বিশ্বের সব দেশ মিলিয়ে সামরিক খাতে মোট ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। সেই হিসেবে আগের বছরের চেয়ে ব্যয় ২.৬ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিপ্রি বলছে, গত বছরের ব্যয় ১৯৮৮ সালের পর সর্বোচ্চ ছিল। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে ৬৪৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যা খরচের শীর্ষ তালিকায় থাকা পরবর্তী আটটি দেশের ব্যয়ের সমান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের খরচ ছিল আড়াইশ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, ২০১৮ সালে রাশিয়া ব্যয় করেছে মাত্র ৬১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :