নিনা আফরিন,পটুয়াখালী : কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর প্রতিনিধি নাসির উদ্দীন বিপ্লবকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে কুয়াকাটা পৌর মেয়র ও লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত গতকাল বুধবার (১২মে) মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি মহিপুরকে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। যুগান্তর কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাগরকন্যা ডট কম’র সম্পাদক এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন বিপ্লব এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২য় পৃষ্ঠার ২য় কলামে ’পুলিশের কেনা কোড়াল মাছ কেড়ে নিলেন মেয়র’ শিরোনামে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা’র বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপা হওয়ার পর মেয়র ওই সাংবাদিকের উপর প্রচন্ডভাবে ক্ষিপ্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে গত এপ্রিল ২০১৯ এ লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের এক সভায় মেয়র তার সহোদর ভ্রাতা লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান আনছার মোল্লাকে লাউড স্পিকারে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে তার সাংবাদিকতার পেশা স্তব্দ করার হুকুম দেয়। পরবর্তীতে ১০ জুন রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আলিপুর চৌরাস্তাস্থ দৈনিক যুগান্তর অফিস কক্ষের সামনে মেয়রের মুঠোফোনের নির্দেশনা ও হুকুমে লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যানের পূর্ব পরিকল্পনায় ও উপস্থিতিতে আসামীরা সাংবাদিক বিপ্লবের পত্রিকা অফিসের সামনে এসে তাকে অশ্লীল ভাষায় ডাক চিৎকার করতে থাকে।
এসময় সাংবাদিক বিপ্লব তার অফিস ঘর থেকে সামনে বের হওয়া মাত্রই বৈদ্যুতিক আলোর নিচে মেয়র পুত্র যুবলীগ নেতা মাসুদ মোল্লা জি.আই পাইপ দিয়ে বিপ্লবের মাথা লক্ষ্য করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বারি দিলে তাকে রক্ষা করতে এসে স্থানীয় জামাল নামের এক যুবক মাথা ফেটে রক্তাক্ত ও জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়। মেয়র পুত্রের সহযোগী রাসেল সাংবাদিক বিপ্লবকে বেøডক্ষুর দ্বারা কন্ঠনালী লক্ষ্য করে পোচ দিতে উদ্যত হলে তাকে রক্ষা করতে এসে ধারালো ব্লেডের পোচ স্থানীয় অপর যুবক শাকিলের পিঠে পড়ে গুরুতর আহত হয়। অত:পর ইউপি চেয়ারম্যান আনছার মোল্লার নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী সাংবাদিক বিপ্লবকে পুনরায় খুন, জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বিপ্লবের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জানান, এটি স্থানীয় রজনৈতিক বিরোধ। এছাড়া ১০ জুন রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আনছার মোল্লার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মহিপুর থানার ওসি মো: সাইদুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞ আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি
আপনার মতামত লিখুন :