স্বপ্না চক্রবর্তী : মানহীন ৫২টি খাদ্যপণ্যকে পুনঃনিরীক্ষার নামে মানোত্তীর্ণ ঘোষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ‘ম্যানেজ’ হয়েছে বলে দাবি করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
মঙ্গলবার ক্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত বলে উলেখ করে বিএসটিআই-এর মান পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ক্যাব।
বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় নিম্নমান প্রমাণিত হওয়ায় ৫২টি খাদ্যপণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে প্রত্যাহারের জন্য গত ১২ মে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ৫২ পণ্য বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় পুনরায় উত্তীর্ণ না হচ্ছে, ততক্ষণ এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু সম্প্রতি ৫২ টি পণ্যের মধ্যে ২৬ টি পণ্যের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়াসহ পুন: পরীক্ষায় মানোর্ত্তীন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।
এর প্রেক্ষিতে দেওয়া বিবৃতিতে ক্যাব দাবি করছে হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে নামি দামি প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআইকে ‘ম্যানেজ’ করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণার ১৭ দিনের মাথায় ওয়েলফুড ও মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইয়ের লবণসহ বেশকিছু পণ্য পুনঃনিরীক্ষার মাধ্যমে মানোত্তীর্ণ ঘোষণা করে বিএসটিআই।
ক্যাব নেতারা বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত বিএসটিআই একবার নিরীক্ষণ করে যে পণ্যকে মানহীন ঘোষণা করে, একই পণ্যকে আবার মনোত্তীর্ণ ঘোষণা করে পুনঃনিরীক্ষায়। এই অবস্থায় বিএসটিআই-এর মান নিয়েই প্রশ্ন ওঠেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিএসটিআই হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে। পুনঃনিরীক্ষণ বিএসটিআই না করে তৃতীয় কোনো পরীক্ষাগারে হওয়া উচিৎ ছিল বলেও মনে করেন তারা।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর কমিটির সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু ও সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলার সভাপতি আবদুল মান্নান।
আপনার মতামত লিখুন :