লিহান লিমা: গবেষণায় জানা গিয়েছে, ১৭৫০ সালের পর থেকে পৃথিবী থেকে প্রায় ৬০০ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়েছে। তবে উদ্ভিদের বিলুপ্তির এই পরিমাণ ধারণকৃত সমীক্ষার চাইতেও বেশি, কারণ এর সঙ্গে পাখি, প্রাণী, কীট-পতঙ্গ ও অন্যান্য প্রজাতিও জড়িত। ন্যাচরাল ইকোলজি এন্ড ইভ্যুলেশন জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। সিএনএন, বিবিসি, আল-জাজিরা
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর এয়েস হামপ্রেয়িস বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষই সাম্প্রতিক দশকে বিলুপ্ত হওয়া পাখি ও প্রাণীদের নাম বলতে পারবেন। কিন্তু খুব কম মানুষ বিলুপ্ত উদ্ভিদগুলোর নাম জানেন।’ ২০০৩ সালে বিলুপ্ত হয়ে যায় সেন্ট হেলেনা ওলিভ উদ্ভিদটি। বিলুপ্ত উদ্ভিদের মধ্যে আরো রয়েছে এসেনশিয়াল অয়েলের জন্য খ্যাত চিলি স্যান্ডালউড। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্বীপ ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে উদ্ভিদের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে।
রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন, কেও এবং স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত দুই দশকে ৫৭১টি উদ্ভিদের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। এই হার একই সময়ে বিলুপ্ত হওয়া স্তন্যপ্রায় প্রাণী, পাখি ও উভচর প্রাণীর চাইতে দ্বিগুণেরও বেশি (এক্ষেত্রে এই হার ২১৭)। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্বাভাবিকের চেয়ে উদ্ভিদের বিলুপ্তির গতি ৫০০গুণ বেশি। তবে ইতিবাচক বিষয় হলো, চিলিয়ান ক্রকাসের মাতো বিলুপ্ত উদ্ভিদ আবারো কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেছে। এর আগে মে মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১০ লাখ প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকির মুখে রয়েছে।
তবে পৃথিবীতে টিকে থাকা সব প্রাণীকূল শ্বাস গ্রহণ ও খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল বিধায় উদ্ভিদের বিলুপ্তি একটি অশনি সংকেত। তাই উদ্ভিদের বিলুপ্তি রোধের জন্য গবেষকরা বিশ্বে বিদ্যমান সব উদ্ভিদের তথ্য সংরক্ষণ, প্রজাতি সংরক্ষণ, উদ্ভিদবিদদের গবেষণায় উৎসাহ ও শিশুদের স্থানীয় উদ্ভিদের সঙ্গে পরিচয় করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।