সান্দ্রা নন্দিনী : ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুরু হওয়া আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনা হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। অ্যাবের সফরটি বুধবার থেকে শুক্রবার নির্ধারণ করা হয়েছে। রয়টার্স
জাপানের প্রধানমন্ত্রী অ্যাবে শিনজোর আসন্ন ইরান সফরটি ৪১ বছরের মধ্যে জাপানের কোনও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথম জোরালো পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও টোকিও ও তেহরানের মধ্যে বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে।
গতবছর ছয় পরাশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণুচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকেই তেহরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এমনকী ‘ইরানের হুমকির প্রেক্ষিতে’ পারস্য উপসাগরে গতমাসে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে বলেন, ওয়াশিংটন মোটেও ইরানের সরকার পরিবর্তন করার বিষয়ে আগ্রহী নয় বরং যুক্তরাষ্ট্র চায় একটি শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ইরানের সঙ্গে সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
মঙ্গলবার জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইওশিহিদে সুগা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই জাপানের পক্ষ থেকে ইরানকে সঙ্কট সমাধানে উৎসাহ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অ্যাবে ও ট্রাম্পের মধ্যে টেলিফোনে কথাও হয়েছে।’
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাস করতে অ্যাবে মূলত বার্তাবাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন। এটি অবশ্যই অত্যন্ত জোরালো একটি পদক্ষেপ। তেহরান সফরের সিদ্ধান্তটি অ্যাবে আসলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের ভিত্তিতেই নিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :