তানজিনা তানিন : দুই বছর ছিলেন স্মার্টফোন থেকে দূরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গেও কোন যোগাযোগ ছিল। মুখগুজে যে সারাদিন যে বই পড়ত, তাও নয়। দিনে ৭-৮ ঘণ্টা নিজে পড়াশোনা করেছেন। এতেই বাজিমাত। ডাক্তার হওয়ার পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন নলিন খান্ডেলওয়াল। সিটি সনউজ
গত বুধবার ভারতের ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রেন্স টেস্ট বা এনইইটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই পরীক্ষায় বাজিমাত করে দিয়েছেন নলিন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭০১। শতাংশ হিসেবে যা দাঁড়ায় ৯৯.৯৯৯৯২৯১।
কিন্তু এমনতর সাফল্যের চাবিকাঠি কী? ১৭ বছরের নলিনের ভাষ্য, ‘আমি রোজ ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। মনে কোনও দ্বিধা থাকলে তা সব সময়েই শিক্ষকদের কাছে ঠিক করে নিতাম। শেষ দুই বছরে কোনও স্মার্টফোন ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয় ছিলাম না।’রাজস্থানের সিকার জেলাতেই পড়াশোনা নলিনের। মা-বাবা দুজনেই ডাক্তার। দাদাও এই মুহূর্তে পড়াশোনা করছেন। তিনি এ সাফল্য ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৫.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন।
নলিন বলেন, ‘একটা বিষয় নিয়ে বারবার পড়া, প্রতিযোগিতা এবং আমার মা-বাবার সহযোগিতা ছাড়া এই নম্বরটা আমি পেতাম না। তবে এই মুহূর্তে আমি ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এআইআইএমএস)-এর ফলাফলের জন্য বসে আছি।’
নলিনের বাবা রাকেশ খান্ডেলওয়াল বলছেন, ‘দশম শ্রেণীর পর নলীন মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। আর আমরা ওর পারফরম্যান্স দেখে হকচকিয়ে উঠেছিলাম। শেষ দুই বছর ও ঠাকুমা-দাদুর সঙ্গে থাকতে সিকার থেকে জয়পুর যাওয়া আসা করত। আমরা সত্যিই ওর জন্য খুব গর্বিত।’
আপনার মতামত লিখুন :