ডেস্ক রিপোর্ট : এক লাখ মুসল্লির একসঙ্গে নামাজ আদায় করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাতস্থল জাতীয় ঈদগাহ। মুসল্লিরা যাতে সুন্দরভাবে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারেন, সে জন্য নেওয়া হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। স্বাভাবিক বৃষ্টি হলে যাতে ঈদ জামাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য ওপরে দেওয়া হয়েছে ত্রিপল। তার নিচে থাকছে সামিয়ানা। সাধারণ পানি নিস্কাশনের জন্য খনন করা হয়েছে ড্রেন। রাষ্ট্রপতির জন্য থাকছে পৃথক ওজু ও টয়লেটের ব্যবস্থা। এ ছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওজুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মুসল্লিদের জন্য থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট। গণপূর্ত, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্নিষ্ট সেবা সংস্থার লোকজন সর্বক্ষণ তৎপর থাকবেন। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ জন্য র্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে। ঈদ জামাত চলাকালে আবহাওয়াজনিত কারণে বজ্রপাত ঠেকাতে ঈদগাহে বজ্র প্রতিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানিয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। লোডশেডিং হলে বিকল্প হিসেবে থাকবে জেনারেটর। নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাঁচ হাজার নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। কোনো কারণে কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য থাকবে মেডিকেল টিম। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এরই মধ্যে কদম ফোয়ারা থেকে হেয়ার রোড হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মিডিয়ান ও ফুটপাত রঙ করা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বুধবার সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে প্রথম ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না গেলে ঈদুল ফিতর হবে আগামী বৃহস্পতিবার। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে সে ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। এরই মধ্যে ঈদগাহ ময়দানের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম রায়।
সূত্র : সমকাল
আপনার মতামত লিখুন :