ডেস্ক রিপোর্ট : রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল কেনার সিদ্ধান্তে ভারতের ওপর ক্ষেপেছে মার্কিন প্রশাসন। ওয়াশিংটন সাফ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০ মিসাইলকে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে চীন। তারপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এ মিসাইল নিয়ে আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অবশেষে গত বছরের অক্টোবর এই যুদ্ধাস্ত্র কিনতে মস্কোর সঙ্গে ৫০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি।
তবে শুধু ভারত নয়, ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত তুরস্কও এই মিসাইল সিস্টেম কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এনিয়ে আঙ্কারার সঙ্গেও ওয়াশিংটনের বিবাদ চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে আমেরিকার সঙ্গে অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের মতো একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে ভারত। তবে এতেও সন্তুষ্ট নয় ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাশিয়া এখনো তাদের আগ্রাসন জারি রেখেছে। এই অবস্থায় রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রি কিনলে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।
আজ শনিবার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভারতকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। আর এটিকে মিসাইল বিরোধের জের হিসেবেই দেখছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এস-৪০০ এর মতো মিসাইল ভারতের সংগ্রহে রাখা দরকার বলে মনে করে মোদি সরকার। এছাড়া পাকিস্তানের কাছে প্রায় ২০ স্কোয়াড্রন মার্কিন এফ-১৬ বিমান রয়েছে। ভারতের জন্য চীনও দিনদিন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে দেশের সুরক্ষায় এই হাতিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া রয়েছে আরও একটি কারণ, আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলে অনেক শর্ত মানতে হবে। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে সেরকম কোনো সমস্যা নেই। আর মস্কো পাশে থাকলে ভারতের সঙ্গে চীনও লাগতে আসবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। তাই সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে মেজাজি ট্রাম্প নয়, বিচক্ষণ পুতিনেই ভরসা রাখছেন নরেন্দ্র মোদি।
উৎসঃ আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :