নিউজ ডেস্ক: গাছ হয়তো আমাদের ছাড়া বাঁচবে। কিন্তু আমরা গাছ ছাড়া বাঁচব না। অথচ প্রতিনিয়ত সেই গাছই নির্মমভাবে কাটা হচ্ছে। যশোর রোডের দু’ পাশে গাছের অস্তিত্ব ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ি ফেলে যশোর রোডের গাছেদের সঙ্গে অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছেন ঋতব্রত ঘোষ। উদ্দেশ্য, গাছের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা। পাভেল বলেই তাঁকে চেনেন সবাই।
বছর দু’য়েক আগে ভারত-বাংলাদেশর মধ্যে পণ্য পরিবহন, বাস পরিষেবা এবং এলাকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যশোর রোড সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় অনেক দোকান সহ একাধিক দুর্লভ প্রাচীন গাছ কাটা পড়বে। কাজেই গাছ বাঁচাও কমিটি গাছ কাটার বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হয়। তারপর হাইকোর্টে থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা গড়ায়। এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। কাজেই গোটা প্রকল্পটাই এখন থমকে। কিন্তু স্থানীয়দের কথায় প্রকল্প আটকে থাকলেও, যশোর রোডের দু’ পাঁশ দিয়ে কাটা হয়ে যাচ্ছে একাধিক বিরল প্রজাতির গাছ। যা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তাই পাভেল বলছেন, ‘এই সময় আমাদের প্রত্যেকের উচিত, গাছদের আপন করে নেওয়া। সারাদিনে অন্তত কিছু সময় তাদের সঙ্গে কাটানো উচিত। তার ফলে আমরা গাছের কথা, কষ্ট সব বুঝতে পারব’।
পাভেল এবং তার বন্ধুরা মিলে হাবড়া, অশোকনগর সহ যশোর রোডের পাশের সমস্ত দোকান এবং এলাকার মানুষদের নিয়ে জায়গায় জায়গায় গিয়ে ক্যাম্প করছেন। স্থানীয় মানুষদের গাছ সম্পর্কে সচেতন করছেন। অনুরোধ করছেন, গাছের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। গাছ কেটে ফেলার জন্য আগামী দিন কতটা ভয়াবহ হতে চলেছে, তা তুলে ধরছেন। আবার ক্যাম্পে দুর্বল গাছগুলির চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে। সবই এই ক্যাম্পে আলোচনার বিষয়। তার পাশাপাশি চলছে ফেসবুকে প্রচারও। সপ্তাহে একটি করে ক্যাম্পে অংশগ্রহণ এবং গাছের সঙ্গে সময় কাটাতে আপনাকেও আহ্বান জানাচ্ছেন পাভেলরা।
আপনার মতামত লিখুন :