মোহাম্মদ মাসুদ : আগে সংখ্যাটা নেমে দাঁড়িয়েছিল ৪৪। এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তা থেকে মাত্র আট বেড়ে হয়েছে ৫২। কিন্তু তাতেও লোকসভায় সরকারিভাবে বিরোধী দলের তকমা পাওয়ার সম্ভাবনা কংগ্রেসের নেই। যেমন হয়েছিল ২০১৪ সালেও। কিন্তু একজনকে তো লোকসভা দলের নেতা হতে হবে, যিনি বিরোধী দলনেতার দায়িত্বই পালন করবেন। আর তা নিয়েই এখন চিন্তায় কংগ্রেস। আজকাল
কংগ্রেসের ভরাডুবির মধ্যেও মুখরক্ষা করেছে দক্ষিণের দুই রাজ্য কেরালা ও তামিলনাড়–। কেরালা ২০টার মধ্যে ১৯ আসনে জিতেছে কংগ্রেস জোট। যার মধ্যে একক ১৫টি আসনেই জিতেছে কংগ্রেস। আর তামিলনাড়– থেকে ৮ জন সাংসদ পাচ্ছে কংগ্রেস। তাই দক্ষিণ ভারত থেকেই কাউকে নেতা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে খবর।
সেদিক থেকে বিচার করলে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা হওয়ার প্রবল দাবিদার তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। আবার সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী যদি সত্যিই সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তা হলে শশীকেই সভাপতি করা যেতে পারে। আর ওয়ানাড় থেকে তিনি জয়ী হয়েছেন। তাই রাহুল গান্ধীকেই বিরোধী দলনেতা করা হোক দলের অন্দরে এমন বিষয়ও আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া আরও যে দু’জনের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন, সাতবারের সাংসদ সুরশ কুডিকুন্নিল এবং চারবারের সাংসদ তথা কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের ছেলে কে মুরলীধরণ।
অন্যদিকে ২০১৪ সালে বিরোধী দলনেতা হিসেবে ছিলেন কর্নাটকের মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু খাড়গে এবার হেরে গিয়েছেন। এবার কংগ্রেসের বেশ কিছু হেভিওয়েটকে দেখতে পাবে না সংসদ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাওয়া কমলনাথ, নিজের কেন্দ্র থেকে হেরে যাওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শিলচরের সুস্মিতা দেব এবং হরিয়ানার দীপন্দর হুডা।
আপনার মতামত লিখুন :