রাশিদ রিয়াজ : রাশিয়া বলেছে, ল্যাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের যে হুমকি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে তার মোকাবিলায় কারাকাসকে প্রস্তুত করছে মস্কো। এ লক্ষ্যে রাশিয়ার সেনা ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা ভেনেজুয়েলায় কাজ করে যাচ্ছে বলেও মস্কো জানিয়েছে। কারাকাসে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির জায়িমস্কি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওয়াশিংটন একাধিকার ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দেয়ার পর থেকে ল্যাতিন আমেরিকার দেশটি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, এ অবস্থায় ভেনেজুয়েলা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চায় যে, তার হাতে থাকা সমরাস্ত্র ও সামরিক বাহিনী সময়মতো জ্বলে উঠতে পারবে।
জায়িমস্কি বলেন, রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা ভেনেজুয়েলার সমরাস্ত্র ও সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০১ সালে রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে স্বাক্ষরিত সামরিক চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা বৈধভাবে ভেনেজুয়েলায় প্রশিক্ষণ কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলেও জানান রুশ রাষ্ট্রদূত।
গত মার্চ মাসে রাশিয়ার একটি অ্যান্তোনভ-১২৪ সামরিক কার্গো বিমান এবং একটি ইলিউশন যাত্রীবাহী বিমানে করে প্রায় ১০০ সামরিক বিশেষজ্ঞ ও সামরিক সরঞ্জাম ভেনেজুয়েলা পৌঁছায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘ ভেনেজুয়েলা ত্যাগ করা’র আহ্বান জানিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ল্যাতিন আমেরিকা থেকে রাশিয়াকে ‘বহিষ্কার’ করার জন্য ওয়াশিংটন ‘সব পদক্ষেপ’ নেয়ার পথ খোলা রেখেছে। রাশিয়া ট্রাম্পের এ হুমকি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ভেনেজুয়েলায় সামরিক বিশেষজ্ঞ পাঠানোর পূর্ণ অধিকার মস্কোর রয়েছে। পারসটুডে
আপনার মতামত লিখুন :