এম জহিরুল ইসলাম : ২০০৯ সালের ২৫ মে দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’। ব্যাপক ক্ষতি হয় বাঁধ, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট। খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলার চার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলছেন, আইলাপরবর্তী কৃষিতে যে ক্ষতি হয়েছিল সে অবস্থা থেকে আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি তারা। ঘূর্ণিঝড় আইলা পরবর্তী পার হয়েছে এক দশক। কিন্তু এর ক্ষতির চিহ্ন এখনও রয়ে গেছে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ ও কয়রার পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর। সময় টিভি
নাগরিক নেতা অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সারা বাংলাদেশের জন্য প্যাকেজ না নিয়ে আমরা যদি এই দক্ষিণাঞ্চলের আইলা বিধ্বস্ত এলাকার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করি তাহলে হয়তো আমরা দেখতে পারবো যে, ওই অঞ্চলের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দশ বছরে খুলনা উপকূলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও প্রণোদনা মূলক কার্যক্রম চলমান আছে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কৃষি ঋণ আরো তরান্বিত করা হয়েছে। কৃষি উন্নয়নের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প নেয়া দরকার, সরকার নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল খাবার পানির ব্যবস্থা। বিভিন্ন এনজিওসহ সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। খুলনার উপকূলীয় এলাকায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। যার ৭০ ভাগের ও বেশী মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
আপনার মতামত লিখুন :