তৌহিদুর রহমান নিটল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাটে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। তবুও তা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের তুলনায় এখনও অনেক কম। বর্ডার হাটে প্রবেশ ও পণ্য ক্রয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কড়াকড়ি এবং বাংলাদেশি ক্রেতাদের অবাধে প্রবেশের সুযোগ ও পাইকারিভাবে পণ্য ক্রয়ের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে মত ব্যবসায়ীদের।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, বাংলাদেশি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণসহ নানা উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতীয় ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা চলছে। ২০১৫ সালের ৬ জুন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সপ্তাহে একদিন (রোববার) বসে সীমান্ত হাট। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনার কার্যক্রম। প্রথম থেকেই লোকসান গুনছিল বাংলাদেশ অংশের ব্যবসায়ীরা। এর ফলশ্রুতিতে বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকে এ হাটের কার্যক্রম। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগের কারণে এখন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।
তবে বিগত ছয় মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যেখানে দুই কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৭০ টাকার পণ্য বাংলাদেশিদের কাছে বিক্রি করে, সেখানে ভারতীয়দের কাছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মাত্র ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকার পণ্য বিক্রি করে। বাংলাদেশ থেকে বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত পণ্য সামগ্রীর হলো- বিস্কুট, লুঙ্গী ফলমূল, স্থানীয় কুটির শিল্পে উৎপাদিত সামগ্রী। ভারত থেকে বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- শাক সবজি ফলমূল, কসমেটিকস, মসলা জাতীয় দ্রব্য, বনজ ও কুটির শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্য, কৃষি উপকরণ, চা, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী ইত্যাদি।
কথা হয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী তুহিন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, হাটে আগের চেয়ে বেচাকিনি কিছুটা বেড়েছে। আগে প্রতি হাটে ৫-৬ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। যদিও তাদের (ভারতীয়) থেকে অর্ধেক কম। তবুও হাট ও ব্যবসা ঠিকে থাকুক। এটা আমাদের কাছে আনন্দ মেলার মতো লাগে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ভারতীয় ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, নারী কর্ণার খোলাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্য আর্কষণ করার জন্য কিছু গবেষণার কাজ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :