আমিন মুনশি : নারীরা ঘরের ভেতরে নামাজের স্থানে ইতেকাফ করবেন। ঘরে নামাজের জন্য আগে থেকে কোনো স্থান নির্দিষ্ট না থাকলে তা নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। (উমদাতুল কারি : ১১/১৪৮; বাদায়েউস সানায়ে : ২/১১৩; ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৩/১৪৫) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ পুরুষের জন্য ‘সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া’, তবে নারীর জন্য মুস্তাহাব।
নারীরা ইতেকাফ করতে চাইলে স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর জন্য ইতেকাফ করা জায়েজ নয়। স্বামীদের কর্তব্য হলো, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া স্ত্রীদের ইতেকাফে বাধা না দেওয়া বরং তাদের সুযোগ দেওয়া। এতে উভয়ই সওয়াব পাবেন। (ফাতাওয়া শামি : ৩/৪২৯; আলমগিরি : ১/২১১)
ইতেকাফ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী মেলামেশা করতে পারবে না। করলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৮৫; ফাতাওয়া শামি : ৩/৪৪২) মাসিক ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতেকাফ করা সহিহ নয়। কারণ একে তো অপবিত্রতার অবস্থা, দ্বিতীয়ত এ অবস্থায় রোজা রাখাও যায় না। আর ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা জরুরি। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/২১১) ইতেকাফ শুরু করার পর নারীদের পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে ইতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতেকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫০২)
নারীরা ঘরের যে স্থানটিকে ইতেকাফের জন্য নির্ধারিত করবেন তা মসজিদের মতো গণ্য হবে। বিনা প্রয়োজনে সেখান থেকে বের হবেন না। প্রসাব-পায়খানা ইত্যাদি প্রয়োজন ছাড়া সে স্থান থেকে বের হলে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/২১১; বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৮২)
আপনার মতামত লিখুন :