স্পোর্টস ডেস্ক : গত সোমবার আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটে-বলের লড়াই করছেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আসিফ আলী। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন আসিফের দু’বছরের কন্যা নুর ফাতিমা। কিন্তু ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেও জিততে পারেননি ছোট্ট এই শিশু। খেলা শেষে আসিফ জানতে পারেন মেয়ের মৃত্যুর খবর। আসিফের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ। তাদের মধ্যে আছেন সাবেক ভারতীয় গ্রেট শচিন টেন্ডুলকারও।
ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, আসিফ আলীর যন্ত্রণাটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন শচিন। কারণ তিনিও যে এক বিশ্বকাপের সময় নিজের পিতাকে হারিয়েছিলেন। আসিফকে সান্ত¡না দিয়ে শচিন টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া পত্রিকাকে বলেছেন, পরিবারের কোন সদস্যকে হারানোর ঘটনা মানুষকে বিধ্বস্ত করে দেয়। আসিফ, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আপনজন হারানো ক্ষতি অপূরণীয়। তার ওপর ইংল্যান্ডে যখন বিশ্বকাপ খেলতে যাবে এই বেদনা তাকে পীড়া দেবে।
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার সময় আপনজন হারানোর বেদনা শচিনও সইতে হয়েছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময়ই শচিন হারিয়েছেন তার পিতাকে। টুর্নামেন্টের মাঝপথেই পিতা হারানোর খবর পেয়ে শচিন দেশে ফিরেছেন। এজন্য জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি। পিতাকে হারিয়ে ভেঙে পড়া টেন্ডুলকার পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে মায়ের অনুরোধে আবার ইংল্যান্ড যান বিশ্বকাপ খেলতে। এবং দলে ফিরেই পরদিন কেনিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে খেলেছিলেন অপরাজিত ১৪০ রানের ইনিংস। সেদিন সেঞ্চুরি করে শচিন নির্বাক চেয়েছিলেন আকাশের দিকে। যেন হারানো বাবাকেই খুঁজছেন সেখানে। ওই দিনের পর থেকেই শচিন প্রতিটি সেঞ্চুরির উদযাপন করতেন আকাশের দিকে তাকিয়ে।
শচিন বলেন, ‘১৯৯৯ বিশ্বকাপের শুরুর দিকে আমি আমার পিতাকে হারিয়েছিলাম। বিশ্বকাপ রেখেই আমাকে দেশে ফিরতে হয়েছে। এরপর আবার মাঠে ফিরলেও বাবাকে হারানো বেদনা ভোলা সম্ভব হয়নি। বাবা হারানোর বেদনা ভুলতে অনেক সময় লেগেছিল। আসিফ আলীর জন্য আমার শুভ কামনা রইল।’
আপনার মতামত লিখুন :