সাজিয়া আক্তার : আধুনিক প্রযুক্তি উৎকর্ষের সাথে-সাথে খুলে গেছে, তথ্য ও বিনোদনের নতুন শাখা-প্রশাখা। তারপরও এখনো তথ্য-বিনোদনের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম টেলিভিশন। তবে, বাংলাদেশে গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনের বিকাশটা যতটা বিস্ময়ের, সময়ের সাথে এর গ্রহণযোগ্যতা ও অস্তিত্ব ততটাই চ্যালেঞ্জের মুখে।
টেলিভিশন হলো তথ্য, ছবি ও শব্দের এক শক্তিশালী মাধ্যম। ছোট এই দেশে মাত্র দেড় যুগের ব্যবধানে ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এই খাতের। বিশেষ করে, বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদ আলাদা জায়গা পায় দর্শকের কাছে। কিন্তু সেই গ্রহনযোগ্যতা ও টিকে থাকার সক্ষমতা এখন কতখানি অবশিষ্ট? সামনে এসেছে এইসব প্রশ্ন।
বর্তমানে সক্রিয় প্রায় ৩০টি টেলিভিশন চ্যানেল, পাইপলাইনে আরো কয়েকটি। কিন্তু, সংখ্যা বাড়ার সাথে পড়েছে মান, ছোট হয়েছে বিজ্ঞাপনের বাজার। আবার দেশি বিজ্ঞাপন গেছে বিদেশি চ্যানেলে। ভাগ বসিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। এমন বহুমুখী সংকট বিরাট চ্যালেঞ্জে ফেলেছে টেলিভিশনগুলোকে।
গণমাধ্যম কর্মকর্তারা বলছেন, টেলিভিশনের চলমান সংকট সমাধানে সত্যিকার উদ্যোগ না নিলে যে অসামান্য ক্ষতিসাধন হবে, তা কেবল প্রতিষ্ঠান কিংবা তার কর্মীদেরই নয়, বইতে হবে গোটা বাংলাদেশকে। টেলিভিশনকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে ভাঙতে হবে স্থবিরতা। শিল্প হিসেবে ঘোষণা, শক্তিশালী সম্পাদকীয় নীতি, অনুষ্ঠান ও সংবাদে নতুনত্ব, পে চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ও বিকল্প আয়ের উৎস তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে সরকার, মালিকপক্ষ এবং কর্মীদের।
সিনিয়র সাংবাদিকরা মনে করেন, চতুর্থ স্তম্ভটা দুর্বল রেখে রাষ্ট্র যতই শক্ত হয়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করুক, দিনশেষে তার ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিটা থেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :