ফাতেমা ইসলাম : টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলার এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদের ব্যাপক মারধর করেছে হাসপাতালের কর্মচারী ও ইন্টার্নি ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। চ্যানেল আই
পরে ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও স্বজনরা মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে রাখে। নিহতের ছোট ভাই হুমায়ন রশিদ আকন্দ সোনা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় বড় ভাই মুকুল আকন্দকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আমরা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজিব অক্সিজেন মাস্কটি খুলে দেয়। এরপর ছটফট করতে করতে আমার ভাই মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, তখন এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে জরুরী বিভাগের ডা. সজিবসহ ২০/২৫ জন ইন্টার্নি শিক্ষার্থী মিলে তাদের মারধর শুরু করে। নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে মাসুমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে তারা।
এসময় আমাদের জরুরী বিভাগের কক্ষে আটক করে রাখা হয়, বলেন নিহতের ভাই।
এদিকে ঘটনার সময় সংবাদকর্মীরা ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের ওপরেও চড়াও হয় ইন্টার্নি ডাক্তার ও কর্মচারীরা। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহত স্বজনদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ওই বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি। তবে ওই রোগীকে জরুরী বিভাগ থেকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিলো। জোরপূর্বক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। ঢাকায় নেয়ার সময় নিচতলায় রোগী মারা যায়।
রোগী মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের লোকজন জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত সকলকে মারধর করে আহত করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
পরে এলাকাবাসী ও রোগীর স্বজনরা এ ঘটনার বিচার দাবিতে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে এবং সড়ক অবরোধ করে রাখে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :