খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল প্রতিনিধি : আগের তুলনায় অনেকাংশে উচ্চতা কমিয়ে দেওয়ার কারণে জেলার গৌরনদী উপজেলা সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ পালরদী খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এছাড়া বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের আশোকাঠী ও গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে নির্মাণাধীন ব্রিজের কারণে আগের চেয়ে খালের অংশ সরু হয়ে গেছে।
সূত্রমতে, দীর্ঘকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক বন্দর টরকী ও গৌরনদী বন্দরের সাথে পালরদী খালের মাধ্যমে নৌ-পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু রয়েছে বানারীপাড়া, স্বরূপকাঠি, মীরেরহাট, ধামুরা বন্দরসহ বিভিন্ন নৌ-বন্দরের। যুগ যুগ ধরে ওইসব নৌ-বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই ছোট-বড় শত শত নৌযান প্রতিদিন পালরদী খাল দিয়ে গৌরনদী, টরকীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে চলাচল করে আসছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী বন্দরের মাছ বাজারের পাশে পালরদী খালের উপরের পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করছে এলজিআরডি বিভাগ। ১০৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের এ ব্রিজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন দ্রুতগতিতে। ইতোমধ্যে ব্রিজের দুই পাশের গোড়ার অংশ, গার্ডার বসানোসহ নিচের কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে স্থানীয় বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সড়কপথের চেয়ে খরচ অনেক কম। এজন্য পালরদী খালটি এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ। তারা আরও জানান, আগের ব্রিজের চেয়ে বর্তমানে নির্মানাধীন ব্রিজটি অনেকটা নিচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বর্ষায় পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে নৌযান চলাচল বন্ধ বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজের মাঝের অংশ আগের চেয়ে ৫/৬ ফুট কমিয়ে নিচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো. ফরহাদ হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্রিজটি দেখতে আপাতত নিচু মনে হলেও আসলে নিচু নয়। পুরো ব্রিজটি নির্মাণের পর আগের মতো নিচ দিয়ে বড় আকারের নৌযান চলতে পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড ও আশোকাঠী নামক এলাকায় মহাসড়ক প্রশস্ত করণের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সু-বিশাল দুটি ব্রিজ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজ নির্মাণের ফলে ওইসব এলাকার খালের অংশ আগের চেয়ে অনেকাংশে সরু হয়ে গেছে। এজন্য তারা নকশা প্রস্তুতকারী প্রকৌশলীদের দায়ী করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :