ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর মিটফোর্ট এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে এক কোটি টাকার নকল ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা ও কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মিলা ড্রাগ হাউজের জসিম উদ্দিনের ২৫ হাজার টাকা, ফার্মা ভিউয়ের পাকেল বর্মণের একবছর, জিয়াউদ্দিন রোডের শাকিল মাহমুদকে দুইবছর জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, দেশ ড্রাগ হাউজের খোরশেদ আলমের দুই লাখ টাকা, সেবা মেডিকেল এজেন্সির সালাউদ্দিনের দেড় লাখ টাকা, ফারাজ মেডিসিন মেটের মাহবুবুল রশিদের দেড় লাখ টাকা, খান মেডিসিনের পবিত্র দত্তের ৭৫ হাজার টাকা, মিতু কেমিক্যালসের সিদু লাল দত্তের দেড় লাখ টাকা, নবাব মেডিকেল স্টোরের আরাফাতের চার লাখ টাকা, সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মাহমুদ হোসেনের চার লাখ টাকা এবং মিটফোর্ড টাওয়ারের ২৪ নম্বর দোকানের মালিক হাবীবুর রহমানের চার লাখ টাকা জরিমানা ও মোশারফ হোসেনের ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার(২৩ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব নকল ওষুধ জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও র্যাব-১০ এর সদস্যরা।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি চক্র নকল ও বিক্রয় নিষিদ্ধ বিভিন্ন ওষুধ কমদামে বাজারে বিক্রয় করছে। তবে প্রশাসনের নজর এড়াতে চক্রটি বিপুল পরিমাণ ওষুধ মিটফোর্টের একটি বাসার খাটের নিচে সংরক্ষণ করেছিল। অভিযানে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।’ জব্দ করা ওষুধের পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকার মতো বলে জানান তিনি।
সারোয়ার আলম বলেন, ‘এসব অপরাধের দায়ে জড়িত তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব ওষুধ উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রয় পর্যন্ত কারা কারা জড়িত সেটি খতিয়ে দেখে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
অভিযানে সহায়তাকারী বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের জন্য যেসব নকল ওষুধ বাজারজাত করছিল তারা। সেটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সুস্থতা তো দূরের কথা রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কারণ এসব নকল ওষুধে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে।’
সারাবাংলা
আপনার মতামত লিখুন :