মৌরী সিদ্দিকা : ভোট গণনায় নিযুক্ত কর্মীরা কারও দেয়া জলও যেন স্পর্শ না করেন। দলের পক্ষ থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে ইভিএম রাখার স্ট্রং রুমগুলির উপর অতন্দ্র নজর রাখতে হচ্ছে দলীয় কর্মীদের। ভোট যন্ত্রে কারচুপি বা বদলে দেয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। দলীয় সতীর্থদের পাশাপাশি দেশের সমস্ত বিরোধী দলের উদ্দেশেই ইভিএম এর উপর নজরদারিতে গুরুত্ব দিতে আবেদন করেছেন। একইসঙ্গে রাজ্যে ভোটগণনা পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলের কর্মীদের কী কী কর্তব্য, তৃণমূল নেত্রীর এমন সাত দফা নির্দেশিকা থেকে দলের জেলা পর্যবেক্ষকদের এবং সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। - বর্তমান
সপ্তদশ লোকসভা ভোটে শুধু কেন্দ্রের শাসক জোটের বিরুদ্ধে নয়, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও লড়তে হয়েছে তাঁদের। তৃণমল মহাসচিব পার্থ চট্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির বর্ধিত অফিস হয়ে উঠেছিল কমিশনের দপ্তর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ কেন্দ্রের শাসকদলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কমিশন তাতে কর্ণপাত করেনি। শুধু তৃণমূলই নয়, দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দল একই সুরে কমিশনের ভূমিকার সমালোচনায় সরব হয়েছে। স্বভাবতই, ভোট গণনাতেও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন মমতা। দলের পক্ষ থেকে তাই ভোট গণনা নিয়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতিতে কোনও কমতি রাখতে চায় না রাজ্যের শাসকদল।
তৃণমূলের সাত দফা নির্দেশিকায় ইভিএম মেশিনের সিল পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর কোনও কেন্দ্রের সব পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে মেশিন সিল করা হয়। তার সাক্ষী হিসেবে সিলের উপরে সই করতে হয়। তৃণমূলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেই সিল যথাযথ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে তবেই যেন তা ভাঙা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :